বাজেটে সোনার উপরে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা হতেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদে সরব হলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এর জেরে গয়নার দাম বাড়তে পারে। কাজ হারাতে পারেন বহু কারিগরও। সেই সঙ্গে মাথাচাড়া দিতে পারে চোরা পথে সোনা কেনা।
আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণও মিলেছে হাতেনাতে। শুক্রবার বাজেটের পরেই সোনার দাম হুহু করে বাড়ে। কলকাতায় প্রতি ১০ গ্রাম (২৪ ক্যারেট) এক লাফে ৭৭০ টাকা বেড়ে হয় ৩৫,৩৩০ টাকা। শনিবার দাম অবশ্য কিছুটা কমেছে। তবে গয়না বিক্রেতাদের আশঙ্কা, তা ফের বাড়তে পারে।
জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন জানিয়েছেন, শুল্ক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দেশের গয়না ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলি যৌথ ভাবে প্রতিবাদ জানানোর পরিকল্পনা করেছে। এতে সামিল হবে কারিগরদের সংগঠনও।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের এমডি সোমসুন্দরম পিআর-এর অভিযোগ, ‘‘কালো টাকা রুখতে কেন্দ্র চাইছে সোনা কেনার ক্ষেত্রে নগদে লেনদেন কমাতে। অথচ শুল্ক বাড়ায় চোরা পথে আমদানি বাড়লে সেই নগদ লেনদেনই মাথা তুলবে।’’ গয়না ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, শুল্ক মিটিেয় এখন এক কেজি সোনা আমদানি করতে যে টাকা লাগে, চোরা পথে তা প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা কম। স্বর্ণ শিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দের আশঙ্কা, ‘‘তাই চোরা পথে আমদানি বাড়লে সৎ ব্যবসায়ীরা অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়বেন। ফলে বেআইনি ভাবে ব্যবসা করার ঝোঁক বাড়তে পারে। যে প্রবণতা জিএসটি আসার পরে অনেক কমে গিয়েছিল।’’
শঙ্করবাবুর মতে, শুল্কের ধাক্কায় সোনার কাটতি কমলে সব থেকে বেশি মার খাবেন কারিগরেরা। কারণ তাঁরা সোনার ওজনের নিরিখে মজুরি পান। তাঁর দাবি, ‘‘দাম বাড়ার জেরে কাটতি কমলে কারিগরদের আয় দ্রুত কমতে পারে। কাজও হারাবেন তাঁরা।’’