মঙ্গলবার কলকাতায় জিএসটি বাদে ১০ গ্রাম খুচরো পাকা সোনা ৮০,৭০০ টাকা। রেকর্ড সামান্যই দূরে। —প্রতীকী চিত্র।
ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় বিশ্ব জুড়ে যখন শেয়ার বাজারে দোলাচল, তখন সুরক্ষিত লগ্নি ক্ষেত্র হিসেবে কদর বেড়েছে সোনার। তার জেরে সম্প্রতি হলুদ ধাতুর দাম ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছেছিল। দবে দামের এই দৌড়ে সোনার গয়নার শখের কেনাকাটা কমেছে মধ্যবিত্তের মধ্যে। ফলে বেশ কিছু দিন ধরে গয়না ব্যবসায়ীরা চাপে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের কাছে স্বর্ণ-মহলের দাবি, আসন্ন বাজেটে কিস্তিতে (ইএমআই) সোনা কেনার সুবিধা চালু করুক সরকার। তাতে ধাতব সোনার বিক্রি যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে ঋণের চাহিদা এবং আর্থিক কর্মকাণ্ড।
মঙ্গলবার কলকাতায় জিএসটি বাদে ১০ গ্রাম খুচরো পাকা সোনা ৮০,৭০০ টাকা। রেকর্ড সামান্যই দূরে। ৮১,০৫০ টাকায়। এই অবস্থায় বেশ কয়েক মাস ধরে সোনার বাজারে সাধারণ ক্রেতার পা রাখা কমেছে। মাথায় হাত পড়েছে বিশেষত ছোট দোকানগুলির। ফলে স্বর্ণ শিল্পের চোখ এখন বাজেটের দিকে। সেনকো গোল্ডের এমডি-সিইও শুভঙ্কর সেন বলছেন, গয়নার কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বাজেটে কিছু বরাদ্দ আশা করছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘সরকার এমন কোনও ব্যবস্থা চালু করুক, যাতে মধ্যবিত্ত ক্রেতা ইএমআইয়ের সাহায্যে গয়না কিনতে পারেন।’’ একই সঙ্গে আয়করের হার কমানোরও সওয়াল করেছেন তিনি। যাতে বাজারে নগদের জোগান বাড়ে। কারণ তাতে গয়না শিল্পও উপকৃত হবে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের আঞ্চলিক সিইও সচিন জৈনের বক্তব্য, ‘‘বাজেটে প্রগতিশীল, জনবান্ধব এবং শিল্পমুখী নীতির ঘোষণা আশা করছি।’’
অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে-ও গয়না কিনতে ইএমআইয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘‘সোনায় জিএসটির হার এখন ৩%। ভ্যাটের আমলে করের হার ১% ছিল। সোনার চড়া দামের উপর এই কর বাড়তি বোঝা। তা ফের ১ শতাংশে নামানো হোক।’’ তাঁর সংযোজন, গয়নার দামের ক্ষেত্রে এখন সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা নগদে মেটানো যায়। আর কেউ গয়না বিক্রি করলে দোকান তাঁকে সর্বোচ্চ ১০,০০০ টাকা মেটাতে পারে নগদে। এই দু’টি ঊর্ধ্বসীমাই বাড়ানো হোক।