বছর নয়েকের পুরনো আর্থিক লেনদেনে কর চোকানোর জন্য ফের ভোডাফোনকে তাড়া দিয়ে নোটিস পাঠানোর ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে শিল্পমহলের। নিজেদের অসন্তোষ চেপে না-রেখেই বুধবার বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের অভিযোগ, কর সংক্রান্ত বিষয়ে শিল্পমহলের উপর আস্থার চূড়ান্ত অভাব রয়েছে আমলাদের মধ্যে। যা এ দেশে সহজে ব্যবসার করার পরিবেশ উন্নত করার পথে অন্যতম বাধা।
এ দিন বণিকসভাটির প্রেসিডেন্ট সুনীল কানোরিয়া কেন্দ্রের কাছে কর ব্যবস্থা আরও সরল করার আর্জি জানান। তাঁর দাবি, ‘‘শিল্পকে সহজে ব্যবসা করার উন্নত পরিবেশ দিতে হলে আরও অনেক কিছু করতে হবে। বিশেষত কর ক্ষেত্রে। কারণ এখন এই বিষয়টি সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। মন্ত্রী, আমলা— কেউ কর প্রক্রিয়াকে সহজ করার এই কাজটা করতে পারছেন না।’’ বণিকসভার কর্তার অভিমত, করের ব্যাপারে শিল্পমহলের উপর ভরসা রাখার জন্য আমলাদের মানসিকতার বদল হওয়া জরুরি।
উল্লেখ্য, বিদেশি লগ্নি টানতে গত শনিবারই মেক ইন ইন্ডিয়ার মঞ্চে দাঁড়িয়ে পুরনো আর্থিক লেনদেনে কর না-চাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অথচ ২০০৭ সালের একটি আর্থিক লেনদেনের সূত্রে ১৪,২০০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া কর চোকানোর কথা মনে করিয়ে দিয়ে ফের ব্রিটিশ টেলিকম সংস্থা ভোডাফোনকে নোটিস পাঠিয়েছে ভারতের আয়কর দফতর।
কর না-মেটালে ভারতে সংস্থাটির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার হুমকিও দিয়েছে তারা। যা পেয়ে বিস্মিত ভোডাফোন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, যে সময়ে মোদী বিদেশি লগ্নিকারীদের কর-বান্ধব, স্বচ্ছ বাণিজ্য পরিবেশ তৈরির বার্তা দিচ্ছেন, ঠিক তখনই এই কর মেটানোর তাড়া আসায় প্রমাণ হয় বাস্তব ছবিটা একেবারেই আলাদা। এবং সরকার ও আয়কর দফতরের আমলাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ না-থাকায় সমন্বয়ের অভাব চূড়ান্ত। কেন্দ্রের অবশ্য দাবি, ‘রুটিন’ মেনেই এই পদক্ষেপ।