ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে।
ব্যর্থ হয়েছে যাবতীয় আলোচনা। বহু দিন ধরে চলতে থাকা হুমকি-পাল্টা হুমকি আর দোষারোপের পরে গত শুক্রবারই শুল্ক যুদ্ধের ময়দানে পুরোদস্তুর নেমে পড়েছে আমেরিকা ও চিন। ৩,৪০০ কোটি ডলারের চিনা পণ্যে ২৫% শুল্ক চাপিয়েছে ওয়াশিংটন। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাঘাতের কথা জানিয়ে দিয়েছে বেজিং। এই পরিস্থিতিতে রবিবার আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আইএমএফ) কর্ণধার ক্রিস্টিন ল্যাগার্দের দাবি, চিন-মার্কিন বাণিজ্য লড়াইয়ের এমন আবহে পাল্টা দিয়ে বাজি জেতার মতো তাস লুকোনো আছে ইউরোপীয় অঞ্চলের (ইইউ) আস্তিনে। ওই অঞ্চলের সব দেশগুলি জোট বেঁধে তা চালতে পারে।
বাণিজ্যের ব্যাপারে ইউরোপকে অত্যন্ত কৌশলী তকমা দিয়ে ল্যাগার্দে বলেন, ‘‘ইউরোপীয়রা একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে দাঁড়ালে বৃহৎ এক শক্তি। একজোটে তাদের তোলা দাবিকে গুরুত্ব দিতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ইউরোপ বিশ্বের বহু দেশের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে।’’
ল্যাগার্দের বিশ্বাস যে খুব একটা ভুল নয়, তার ইঙ্গিত কিছুটা মিলেছে এ দিনই। আমেরিকাকে পাল্টা শুল্কের হুমকি ইউরোপ অনেক আগে থেকেই দিচ্ছিল। রবিবার পুরো ইইউ-র তরফে আরও সুর চড়িয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে প্রতিক্রিয়া হজম করার জন্য তৈরি থাকতে বলেছে ফ্রান্স। বাণিজ্য যুদ্ধ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জানিয়ে, প্রধানমন্ত্রী ব্রুনো লে মেয়ার বলেন, ‘‘কাল যদি গাড়ির মতো ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানো হয়, তবে পাল্টা হিসেবে গোটা ইউরোপ জোট বেঁধে দাঁড়াবে এবং অত্যন্ত জোরালো ভাবে তার জবাব দেবে।’’
এ দিকে, শুক্রবার আমেরিকা ও চিন শুল্ক চাপানোর পরে সোমবারই প্রথম খুলবে শেয়ার বাজার। তাই সারা বিশ্বের লগ্নিকারীদের নজর এখন সে দিকেই। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, শুধু তো ওই দুই দেশ নয়, এই যুদ্ধের মাসুল চোকাতে হবে সারা বিশ্বের বাজার ও অর্থনীতিকেই।