Budget 2021

তরল বর্জ্য পরিশোধন, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর প্রস্তাব

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে সমস্ত দাওয়াই দিয়েছেন, তা আদতে গঙ্গা-দূষণ রোধেই কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩৬
Share:

ফাইল চিত্র।

পাঁচটি রাজ্যে ২৫২৫ কিলোমিটার যাত্রাপথ গঙ্গার। অন্তত ৯৭টি শহর থেকে রোজ প্রায় ২৯৫.৩ কোটি লিটার তরল বর্জ্য সরাসরি গঙ্গায় গিয়ে মিশছে। শুধুমাত্র গঙ্গা তীরবর্তী ১০টি শহরেই উৎপন্ন হচ্ছে এই বর্জ্যের ৬৪ শতাংশ। যেখানে যেখানে পারছে, গঙ্গা সে সব ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর যেখানে পারছে না, সেখানে বর্জ্য, আবর্জনা, শিল্পের দূষণে ক্রমশ স্তিমিত হয়ে আসছে স্রোত। সমীক্ষা এ-ও বলছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে ওই তরল বর্জ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৩৬০.৩ কোটি লিটার!

Advertisement

সোমবার পেশ করা বাজেটে সরাসরি গঙ্গা-দূষণ রোধের কথা না বললেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে সমস্ত দাওয়াই দিয়েছেন, তা আদতে গঙ্গা-দূষণ রোধেই কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। যদি অবশ্য সেগুলি যথার্থ ভাবে বাস্তবায়িত হয়। এ দিনের বাজেটে ‘স্বচ্ছ ভারত, সুস্থ ভারত’ প্রকল্পের অধীনে তরল নিকাশি-বর্জ্য পরিশোধন, মল-মূত্রবাহিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, উৎস থেকেই জঞ্জাল পৃথকীকরণ, এক বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো-সহ একাধিক বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যার জন্য আগামী পাঁচ বছরে (২০২১-’২৬) ১ লক্ষ ৪১ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও বলেছেন তিনি।

যদিও প্রস্তাবিত প্রকল্প কত দূর বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সংশয়ী পরিবেশবিদদের একাংশ। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের কথায়, ‘‘তরল নিকাশি-বর্জ্য পরিশোধন প্লান্টের প্রসঙ্গ সেই আশির দশক থেকে শুনে আসছি। এ বারও নতুন কিছু শুনলাম না। এত বছর ধরে প্রস্তাবিত বাজেটগুলি যদি সত্যিই ঠিক মতো বাস্তবায়িত হত, তা হলে তরল বর্জ্য সরাসরি গিয়ে গঙ্গায় মিশত না। আবার প্লাস্টিকের কারণে নিকাশি নালাও বুজে যেত না।’’ বিশেষজ্ঞদের একাংশ আরও জানাচ্ছেন, নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট যে পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে, তেমন ভাবে সেগুলি চালানো এতই খরচসাপেক্ষ যে, তৈরির কিছু দিনের মধ্যেই তা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।

Advertisement

বিশেষত, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এটা মূল সমস্যা। নদী-বিশেষজ্ঞ সুপ্রতিম কর্মকার এ বিষয়ে বলছেন, ‘‘এক দিকে নিকাশি পরিশোধন প্লান্ট থাকলেও সেগুলি না থাকার মতো। আবার, অনেক জায়গায় জাতীয় পরিবেশ আদালত বাধ্যতামূলক ভাবে পরিশোধন প্লান্ট তৈরির নির্দেশ দিলেও তা করা হয়নি। ফলে প্রস্তাবিত প্রকল্প যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেটা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement