BSNL

বিএসএনএলকে পিছনে টেনে ধরার অভিযোগ

বিএসএনএলের জন্য ২০১৯-এর পরে এ বছর ফের পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। অথচ সংস্থা এখনও ৪জি আনতে পারেনি।

Advertisement

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৫৯
Share:

বিএসএনএল। ফাইল চিত্র।

দেশে ৫জি পরিষেবার দৌড়ে নেমেছে ভারতী এয়ারটেল, রিলায়্যান্স জিয়ো, ভোডাফোন আইডিয়া। এ জন্য বিভিন্ন বহুজাতিকের যন্ত্র এবং পরিকাঠামো (গিয়ার ইত্যাদি) ব্যবহার করতে জোট বাঁধছে তারা। সেই সূত্রেই ফের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল-কে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলল সংস্থার এমপ্লয়িজ় ইউনিয়ন (বিএসএনএলইইউ)। তাদের দাবি, বেসরকারি সংস্থাগুলি ৪জি এবং ৫জি পরিষেবা দিতে নির্বিঘ্নে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থার যন্ত্র ব্যবহার করে উন্নতির পথে হাঁটছে। অথচ বিএসএনএল-কে ৪জি সংযোগ তো বটেই, ভবিষ্যতে ৫জির জন্যও দেশীয় প্রযুক্তি এবং যন্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। যা এখনও পুরোদস্তুর তৈরি কি না, তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

বিএসএনএলের জন্য ২০১৯-এর পরে এ বছর ফের পুনরুজ্জীবন প্রকল্প ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। অথচ সংস্থা এখনও ৪জি আনতে পারেনি। কর্মী সংগঠনের দাবি, এর ফলে গ্রাহক হারিয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে তলিয়ে যাচ্ছে তারা। তাদেরও বহুজাতিক সংস্থার যন্ত্র ব্যবহারে সায় দেওয়ার দাবি জানিয়ে টেলিকমমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি দিয়েছেন বিএসএনএলইইউ-র সাধারণ সম্পাদক পি অভিমন্যু।

চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে বিএসএনএলের ৪জি যন্ত্র কেনার আন্তর্জাতিক দরপত্র বাতিল করেছিল কেন্দ্র। অভিমন্যু মঙ্গলবার বলেন, ‘‘চিনা সংস্থা বাদেও বিভিন্ন বহুজাতিক আছে। দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে বিএসএনএলের ৩জি বিটিএসে (টাওয়ার, যন্ত্র-সহ পরিকাঠামো) নোকিয়ার যন্ত্র রয়েছে। দ্রুত সেগুলিতে সফটওয়্যারের মানোন্নয়ন ঘটিয়ে ৪জি আনা যায়। তা সম্ভব অন্যান্য স্থানেও। জিয়ো ৫জির জন্য নোকিয়া-এরিকসনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধছে। স্যামসাঙের সঙ্গেও জোট রয়েছে। ৫জির জন্য ওই তিন সংস্থাকে বেছেছে এয়ারটেলও। ২জি, ৩জি, ৪জি— সব ক্ষেত্রে একই ঘটনা। তা হলে বিএসএনএলে কেন দেশীয় যন্ত্রের নির্দেশ?’’ তাঁর দাবি, এতে অনির্দিষ্টকাল দেরির সঙ্গেই অপূরণীয় ক্ষতিও হচ্ছে। মে মাসে প্রায় ৫.৩০ লক্ষ গ্রাহক সংযোগ ছেড়েছেন। জুন ও জুলাইয়ে যথাক্রমে ১৩ ও ৮.১৮ লক্ষ।

Advertisement

কেন্দ্রের নির্দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা সি-ডট এবং টাটাদের টিসিএস ও তেজস দেশীয় ৪জি প্রযুক্তি গড়ছে। তবে ওই প্রযুক্তি এবং তার ভিত্তিতে তৈরি যন্ত্রের দাম নিয়ে কিছু ধোঁয়াশা রয়েছে। সম্প্রতি বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার জানান, কথা চলছে। নভেম্বর থেকেই ৪জি চালুর প্রক্রিয়া শুরু হবে। অভিমন্যু অবশ্য বলছেন, ডিসেম্বরের আগে সেই সম্ভাবনা কম বলে খবর। তাঁদের প্রশ্ন, আর কত পিছোবে বিএসএনএল?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement