এসএনইএ সূত্রের খবর, ৪জি পরিষেবা চালুর বিষয়টি দেখতেন এস কে মিশ্র। তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিন (বৃহস্পতিবার) ৬০০০টি ৪জি বিটিএসের যন্ত্র কেনার বরাত দেন তিনি। পরীক্ষার জন্য দেশ জুড়ে সেগুলি বসানো হবে।
প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘ টালবাহানা এবং জল্পনার পরে আগামী অগস্টে ৪জি টেলিকম পরিষেবা চালুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিএসএনএলের সিএমডি পি কে পুরওয়ার। সেই সূত্রে শীঘ্রই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যন্ত্রের বরাত দেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। সংস্থার অফিসারদের সংগঠন এসএনইএ সূত্রের খবর, সেই কাজ শেষ হয়েছে। ৬০০০টি বিটিএসের (সংযোগ দিতে টাওয়ার-সহ পরিকাঠামো) জন্য দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ৪জি পরিষেবার যন্ত্র কেনার বরাত দিয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত বিএসএনএলের ডিরেক্টর (মোবাইল) এস কে মিশ্র।
প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি যখন ৫জি আনার তোড়জোড় করছে, তখন বিএসএনএল ৪জি-ই আনতে পারেনি। সংস্থার কর্মীদের অভিযোগ ছিল, বেসরকারি সংস্থাগুলি দেদার বিদেশি যন্ত্র কিনলেও, তাদের ক্ষেত্রে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা চাপানো হয়েছে। তাই ৪জি আনতে আরও দেরি হচ্ছে। তবে কেন্দ্র সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। রাষ্ট্রায়ত্ত গবেষণা সংস্থা সি ডট-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে দেশীয় ৪জি প্রযুক্তি তৈরির বরাত পায় টিসিএস এবং টাটা গোষ্ঠীর আর এক সংস্থা তেজস। সেই প্রযুক্তিই ছাড়পত্র পেয়েছে। তার ভিত্তিতে বরাত অনুযায়ী তৈরি হবে প্রয়োজনীয় যন্ত্র।
এসএনইএ সূত্রের খবর, ৪জি পরিষেবা চালুর বিষয়টি দেখতেন এস কে মিশ্র। তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিন (বৃহস্পতিবার) ৬০০০টি ৪জি বিটিএসের যন্ত্র কেনার বরাত দেন তিনি। পরীক্ষার জন্য দেশ জুড়ে সেগুলি বসানো হবে। নোকিয়ার প্রায় ৮০০০টি ৪জি বিটিএস আগেই বসানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে পরীক্ষা সফল হলে আরও এক লক্ষ বিটিএসের বরাত দেওয়ার কথা। এ নিয়ে শুক্রবার পুরওয়ারের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
পুরওয়ার সম্প্রতি জানান, প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগস্ট বিএসএনএলের ৪জি চালু করতে আগ্রহী। তাঁর আশা, মে-জুনে সরবরাহ শুরু হবে। তারপর ধাপে ধাপে নেটওয়ার্কের সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা ও অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বাণিজ্যিক আলোচনা এগোবে। কর্মী-অফিসারদের যৌথ সংগঠন এইউএবি-ও সম্প্রতি দ্রুত ৪জি পরিষেবা চালুর দাবি জানিয়েছে।