ফাইল চিত্র।
আমেরিকায় ফের সুদের হার বাড়ল ৭৫ বেসিস পয়েন্ট। দু’মাসে বৃদ্ধি ১৫০ বেসিস পয়েন্ট। চাহিদাকে নামিয়ে মূল্যবৃদ্ধির চড়া হারে রাশ পড়ানোর এই উদ্যোগ সে দেশে আর্থিক মন্দার আশঙ্কাও বাড়াল। তবু শেয়ার বাজার মুষড়ে পড়ল না। আমেরিকার সূচক তো বাড়লই। বৃহস্পতিবার হাজার পয়েন্ট লাফাল ভারতের সেনসেক্সও। থামল ৫৬,৮৫৭.৭৯ অঙ্কে। ১৭ হাজারের দোরগোড়ায় ফিরল নিফ্টি। ১৬৩৭.৩৯ কোটি টাকার শেয়ার কিনল বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থা। ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি ঢালল ৬০০.২৯ কোটি। ডলারের নিরিখে টাকার দামও উঠল অনেকখানি।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের কর্ণধার জেরোম পাওয়েলের বার্তায় বিশ্ব জুড়ে তেতে উঠেছে বাজার। তিনি জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধি কমাতে সুদ বৃদ্ধি জারি রাখবেন তাঁরা। তবে তার হার নির্ধারণের সময় মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি মাথায় রাখা হবে আর্থিক বৃদ্ধির কথাও। লগ্নিকারীদের ধারণা, এটা ভবিষ্যতে সুদ বৃদ্ধির গতি কমার ইঙ্গিত। যার প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে ভারতেও। এই প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, আগামী সপ্তাহে ঋণনীতির পর্যালোচনায় বসে সুদ বৃদ্ধির হার ৩৫ থেকে ৫০ পয়েন্টের মধ্যেই রাখবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক।
জেএম ফিনান্সিয়ালের এমডি-সিইও আমিতাভ মহাম্তি বলেন, “ফেড সুদ বাড়াবে জানাই ছিল। বরং পাওয়েলের বার্তা আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে শেয়ার বাজারকে উৎসাহিত করেছে। আশা করছি রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ৩৫-৫০% মতো সুদ বাড়াবে।’’ এডেলউইজ় অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার ত্রিদিব ভট্টাচার্যেরও দাবি, “আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধির গতি কমার ইঙ্গিত ভারতের বাজারকে স্বস্তি দিয়েছে। রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কও এ বার ৫০ বেসিস পয়েন্টের বেশি সুদ বাড়াবে না।’’ তবে মন্দার আশঙ্কা উস্কে জানুয়ারি-মার্চের পরে এপ্রিল-জুনেও সঙ্কুচিত হল আমেরিকার জিডিপি। তার হার ০.৯%।