ফাইল চিত্র।
সেনসেক্স ৫৬ হাজারের ঘর ছুঁয়ে এসেছিল সম্প্রতি। শুক্রবার এই প্রথম সেখানে থামল। ৫৬,১৮৮.২৩ অঙ্কে পা রেখে তৈরি করল নতুন নজির। ১৬,৭০৫.২০-তে থেমে রেকর্ড গড়েছে নিফ্টি-ও। এ বার নজর ১৭ হাজারের দিকে। বেড়েছে ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও। প্রতি ডলার ৫৩ পয়সা কমে হয়েছে ৭৩.৬৯ টাকা।
তবে সূচক এমনই চাঙ্গা থাকবে কি না সেই প্রশ্ন উঠেছে। যখন আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারাল রিজ়ার্ভের কর্তা জেরোম পাওয়েল বলেছেন, করোনা যুঝতে অর্থনীতিতে নগদের জোগান বাড়ানোর জন্য মাসে যে ১২,০০০ কোটি ডলারের বন্ড কিনছিলেন তাঁরা, তাতে এ বার রাশ টানা হবে। চলতি বছরের বাকি ক’মাসে ধাপে ধাপে কমবে বন্ড কেনার পরিমাণ। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, সে দেশের ওই বিপুল ত্রাণে আমেরিকার লগ্নিকারীদের হাতে আসা নগদের একাংশ ঢুকেছে ভারতের বাজারেও। এক সময় সূচকের উত্থানে অন্যতম প্রধান জ্বালানি হয়েছে সেই পুঁজি। যা ঢেলেছে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি।
তবে অন্য অংশের বক্তব্য, এপ্রিল থেকে জুলাই বিদেশি সংস্থাগুলি নিট হিসেবে ভারতে ৪১,২৭৪.০৫ কোটি টাকার শেয়ার বেচেছে। কিন্তু সেনসেক্স উঠেছে। কারণ, সে সময়ে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি ৩৮,৮৬৪.৫৪ কোটি লগ্নি করেছে। বিশেষজ্ঞ অজিত দে বলেন, এই তথ্য প্রমাণ করছে দেশের বাজার পরিণত হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ফেড-এর সিদ্ধান্তে বিদেশি লগ্নি কমলেও তা পুষিয়ে দেবে ফান্ড-সহ দেশীয় আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নি।’’
যদিও সূচকের এত দ্রুত এতখানি উঁচুতে ওঠা কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্নও রয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, স্বল্প মেয়াদে বাজার অনিশ্চিত। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে তা চড়াই থাকবে। রিলায়্যান্স সিকিউরিটিজ়ের সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট বিকাশ জৈনের আশা, ‘‘নিফ্টি ১৭,০০০ ছোঁবে ক’সপ্তাহের মধ্যেই।’’ তবে ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন চেয়াম্যান কমল পারেখের সতর্কবার্তা, ‘‘মুনাফার চেয়ে বহু সংস্থার শেয়ার দাম চড়া। ফলে লগ্নিকারীরা শেয়ার কিনুন সাবধানে।’’