বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাজেটের আগে বহু লগ্নিকারী শেয়ার বেচে মুনাফা তুলতে চাইছেন। ছবি: পিটিআই।
অর্থনীতিকে তোয়াক্কা না-করে ৫০ হাজার ছোঁয়া বাজারে সংশোধন কতটা জরুরি, বার বার বলছিলেন বিশেষজ্ঞেরা। অবশেষে এল সেই মরসুম। বুধবার সেনসেক্স ৯৩৭.৬৬ পয়েন্ট পড়ে দাঁড়াল ৪৭,৪০৯.৯৩ অঙ্কে। টানা চার দিনে হারাল ২৩৮২.১৯ পয়েন্ট। মুছল লগ্নিকারীদের ৮.০৭ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। এ দিন নিফ্টিও পড়েছে ২৭১.৪০। থেমেছে ১৩,৯৬৭.৫০-তে। চার দিনের পতন ৬৭৭.২০। টানা তিন দিন ৯.৬৫% পড়ে বুধবার বিএসই-তে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৮৯৫.২৫ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, বাজেটের আগে বহু লগ্নিকারী শেয়ার বেচে মুনাফা তুলতে চাইছেন। এর মধ্যে বিদেশি আর্থিক সংস্থাও রয়েছে। সূচকের এত উঁচুতে ওঠার প্রধান কারণ যাদের লগ্নি।
একাংশ আগেই সতর্ক করেছিলেন, বাজারের বিদেশি লগ্নি নির্ভর হওয়া ঝুঁকির। কারণ সেই লগ্নি তোলা হলেই তা মুখ থুবড়ে পড়বে। তখন ভারতীয় লগ্নিকারীরা লোকসান গুনবে। আশঙ্কা মিলিয়েই বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি গত তিন দিনে শেয়ার বেচেছে ৩০৮৯.০৩ কোটি টাকার। ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখের মতে, ‘‘বিদেশি লগ্নি নির্ভর বাজারে স্থিতিশীলতা আসে কম। পতন দীর্ঘ হয়। নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে যখন দেশের আর্থিক উন্নতিতে শেয়ার চড়া হবে।’’
এক ঝলকে
• সেনসেক্স নামল ৯৩৭.৬৬ পয়েন্ট। থামল ৪৭,৪০৯.৯৩ অঙ্কে।
• গত ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত সূচকটি বেড়েছিল ২০৪০.৭৯ পয়েন্ট।
• সেখানে গত বৃহস্পতিবার থেকে চার দিনের লেনদেনে তা পড়েছে ২৩৮২.১৯ পয়েন্ট।
• মুছেছে লগ্নিকারীদের
• লক্ষ কোটি টাকারও বেশি শেয়ার সম্পদ।
তবে দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে-র দাবি, যারা গত এক বছরে ১.৬৩ লক্ষ কোটি টাকা ঢেলেছে, তারা ৩০০০ কোটি তুললে কী আসে যায়! তাঁর দাবি, ‘‘এই পতনে বাজারের আকর্ষণ বাড়বে। জমি পোক্ত হবে। আরও অনেক লগ্নিকারী সেখানে পা রাখতে পারবেন।’’