ফাইল চিত্র।
এক দিকে চতুর্থ ত্রৈমাসিকে সংস্থাগুলির আশানুরূপ আর্থিক ফল না-হওয়া। অন্য দিকে ভারত তথা বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা। এই দুইয়ের জেরে সোমবার সপ্তাহের প্রথম লেনদেনের দিনেই পড়ল শেয়ার বাজার। এ দিন সেনসেক্স ১১৭২.১৯ পয়েন্ট নেমে দাঁড়িয়েছে ৫৭,১৬৬.৭৪ অঙ্কে। যার জেরে মুছে গিয়েছে লগ্নিকারীদের ২.৫৮ লক্ষ কোটি টাকার শেয়ার সম্পদ। টানা চার দিনের পতনে সূচকটি খুইয়েছে ২২৮০.৪৪ পয়েন্ট। নিফ্টি সোমবার ৩০২ পয়েন্ট পড়ে থেমেছে ১৭,১৭৩.৬৫ অঙ্কে।
বাজার মহলের মতে, গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’দিন ছুটি ছিল। তার পরে শনি-রবিবার কাটিয়ে আজ লেনদেন চালুর পরে অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কার প্রতিফলন ধরা পড়েছে বাজারে। বিশেষত ভারত-সহ বিশ্ব জুড়ে মূল্যবৃদ্ধি মাথা তোলা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে লগ্নিকারীদের মধ্যে। সোমবারই সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে ভারতে মার্চে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ১৪.৫৫%। খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও সাড়ে ৬ শতাংশের বেশি। যা এখানেও সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরালো করে তুলছে।
তার উপরে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং ইনফোসিসের মতো বড় সংস্থার আর্থিক ফল প্রত্যাশার চেয়ে খারাপ হওয়াও সূচকের পতনে ইন্ধন জুগিয়েছে। উপরন্তু দেশে করোনা সংক্রমণ ফের মাথা তুলতে শুরু করেছে, সেটাও আতঙ্কে রেখেছে বাজারকে। এমনিতেই চিনে করোনা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সেখানকার আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়েছে। যা বিশ্ব বাজারে চাপ তৈরি করেছে। এই অবস্থায় সূচক আরও পড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে বলে মত অনেকের।
ফাস্ট ক্যাপিটাল মার্কেটসের ডিরেক্টর বিনয় আগরওয়াল বলেন, ‘‘বাজারের হাল ক’দিন ধরেই খারাপ। এ দিন ইনফোসিস এবং এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম পড়া সূচকের পতনের অন্যতম কারণ। সূচকে ওই দুই সংস্থার শেয়ারের উপরে যে গুরুত্ব (ওয়েটেজ) আরোপ করা আছে, তাতে তাদের শেয়ারের দাম পড়ার ফলেই সেনসেক্সের পতন হয়েছে প্রায় ৫০০ পয়েন্ট।’’ তাঁর আরও মত, চিন এবং ভারতের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে ফের তেলের দাম মাথা তোলা ও পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবও এ দিন সূচকের উপরে পড়েছে।