—প্রতীকী চিত্র।
চলতি অর্থবর্ষের মধ্যে ভারতের ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হওয়ার স্বপ্ন ফেরি করছিল মোদী সরকার। তা পূর্ণ হয়নি এখনও। তবে বুধবার সেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলল দেশের শেয়ার বাজার। এই প্রথম দিনের শেষে ৫ লক্ষ কোটি ডলার হওয়ার ইতিহাস গড়ল বিএসই-তে নথিভুক্ত সমস্ত সংস্থার শেয়ারের মোট মূল্য (মার্কেট ক্যাপিটালাইজ়েশন)। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪,১৫,৯৪,০৩৩.৭২ টাকা।
টানা না হলেও, কার্যত ন’দিন ধরে উঠছে সেনসেক্স। মাঝখানে মাত্র দু’দিন সামান্য নেমেছে। গত ৯ মে-তে সূচক ছিল ৭২,৪০৪.১৭। এ দিন ২৬৭.৭৫ পয়েন্ট উঠে দাঁড়িয়েছে ৭৪,২২১.০৬ অঙ্কে। ফলে এই ন’দিন ধরেই বাড়ছে লগ্নিকারীদের শেয়ার সম্পদ। বেড়েছে ২২.৫৯ লক্ষ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান বলছে, বিএসই-র সংস্থাগুলির মোট শেয়ারমূল্য প্রথম বার ৪ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল গত বছরের ২৯ নভেম্বর। গত মঙ্গলবার লেনদেনের মাঝে তা প্রথম ৫ লক্ষ কোটি ডলার ছোঁয়। তবে সে দিন বাজার বন্ধ হওয়ার সময়ে নেমে আসে ৪.৯৭ লক্ষ কোটি ডলারে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ভারতীয় শেয়ার বাজারে তাই ওই নজির গড়া ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিশ্ব জুড়ে ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, চড়া সুদ, দেশে লোকসভা নির্বাচন ইত্যাদি নিয়ে সেখানে অস্থিরতা থাকলেও সূচক চাঙ্গা।
বাজার বিশেষজ্ঞ আশিস নন্দীর দাবি, ‘‘বিএসই এবং এনএসই, দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই নথিভুক্ত সংস্থার শেয়ারের মোট মূল্য ৫ লক্ষ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। এর ফলে আমেরিকা, হংকং, জাপানের মতো এই নিরিখে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির শ্রেণিভুক্ত হল ভারত। এটা অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। কারণ, এর ফলে বাজারে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থার এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ লগ্নির প্রবাহ বাড়বে দেশে।’’ তিনি জানান, দেশে ১৫ কোটির মতো ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বাজারে পা রাখতে এ বার আরও উৎসাহিত হবেন খুচরো লগ্নিকারীরা।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, বাজারে মোট শেয়ার মূল্য যত বাড়বে, কর্পোরেট সংস্থাগুলির পক্ষে শেয়ার ছেড়ে মূলধন জোগাড় করার রাস্তা তত চওড়া হবে। সুযোগ তৈরি হবে উন্নতির। উপকৃত হবে অর্থনীতি। সেই সঙ্গে শেয়ার বাজারের পাশাপাশি এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ঋণপত্রের বাজার-সহ আনুষঙ্গিক ক্ষেত্রগুলিতেও।