ভোট মরসুমে খাবারের পাতে মুরগির চাহিদা মারকাটারি। কিন্তু মুরগির পাতে খাবার জোগাতে ঘুম ছোটার দশা খামার মালিকদের।
ব্রয়লার মুরগির পছন্দের প্রধান খাবার ভুট্টার দানা। দেশে তা বেশি জোগান দেয় অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার মতো দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের মুরগি খামারগুলিতে ভুট্টার দানা আসে বিহার, ঝাড়খন্ড, ওড়িশা থেকেও। কিন্তু গত বছরের মতো এ বারও পোকার সংক্রমণে ভুট্টার ফলন ভাল না হওয়ায় সঙ্কটে রাজ্যের পোলট্রি শিল্প। পশ্চিমবঙ্গ পোলট্রি ফেডারেশনের দাবি, বেশি দামে ভুট্টা দানা ও অন্যান্য খাবার কিনতে গিয়ে খামারগুলিতে মুরগি পালনের খরচ গড়ে ৬০% বেড়েছে।
ঘাটতি মেটাতে মাস খানেক আগে পোলট্রি শিল্পের জন্য বিদেশ থেকে ভুট্টার দানা আমদানি করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। কিন্তু শিল্পের একাংশের দাবি, নানা কারণে তা এখনও আনা যায়নি। এমনিতে কেন্দ্র প্রাথমিক ভাবে যে এক কোটি টন দানা আমদানি করবে বলেছে, তা চাহিদার তুলনায় সামান্য। কিন্তু জুন-জুলাইয়ে সেটুকু আনা গেলেও কিছুটা সঙ্কট মিটবে বলে তাঁদের আশা।
ভোটের বাজারে মুরগির জোগানে যাতে ঘাটতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত ২৫% মুরগির উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল রাজ্যের পোলট্রি শিল্পের। কারণ এই সময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে মুরগির মাংসের চাহিদা বাড়ে। সেই অনুযায়ী গত দু’মাস খামারগুলিতে মুরগি বড় করার কাজও চলছে। কিন্তু মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি ও মুরগির খাবারের খরচ নাগালের বাইরে যাওয়ায় উভয় সঙ্কটে বহু ছোট-মাঝারি খামার মালিক।
ফেডারেশনের সভাপতি মদনমোহন মাইতির দাবি, ভুট্টার দাম কেজিতে সাড়ে ১২ টাকা থেকে বেড়ে ২০-২৫ টাকা হয়েছে। ফলে গম-সহ অন্যান্য শস্য দানা বেশি দামে কিনে মুরগিকে খাওয়াতে হচ্ছে। বাড়ছে উৎপাদন খরচ। আবার ব্যবসা রাখতে মুরগি পালনও করতে হবে। সব মিলিয়ে সমাধানের রাস্তা পাওয়া যাচ্ছে না বলেই শিল্প মহলের দাবি।