প্রতীকী ছবি।
ক্রমশ পড়ছে অশোধিত তেলের দর। শুক্রবার সেটি প্রায় ৫% পড়ে নেমেছে আট মাসের সব চেয়ে নীচে। এ দিন এক সময়ে ব্রেন্ট ক্রুড হয় ৮৫.৫০ ডলার। ডব্লিউটিআই ৭৮.৯১ ডলার। আমেরিকায় ফেডারাল রিজ়ার্ভ-সহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধিকে রুখতে চড়া হারে সুদ বাড়ানোয় মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে। সেই সঙ্গে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ডলারও। ভারতে তা শুক্রবারই ছাড়িয়েছে ৮১ টাকা। এই দুইয়ের জেরেই পতন ঘটছে অশোধিত তেলের দরের। তবে সেই কম দামের সুবিধা ভারতে ক্রেতারা কবে পাবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এর আগে দু’বছর আগে লকডাউনের সময়ে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল নেমেছিল তলানিতে।কিন্তু তখনও তার সুফল পাননি মানুষ। অর্থনীতিবিদদের একাংশের মতে, এ বার দাম কমলেও শক্তিশালী হচ্ছে ডলার। ফলে জ্বালানি আমদানির খরচ আদৌ কতটা কমবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে মোদী সরকার বা তেল সংস্থাগুলি। খুব বেশি ফারাক না হলে সেই যুক্তিতে এ বারও ়সুরাহা দেওয়া থেকে বঞ্চিত রাখা হতে পারে। যদি না আসন্ন গুজরাতের ভোটের দিকে তাকিয়ে এবং উৎসবের মরসুমে স্বস্তির বার্তা দিতে তেলের দাম কমানো হয়।
এ দিকে, কয়লা থেকে গ্যাস উৎপাদনের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে ভেল, আইওসি এবং গেলের সঙ্গে জোটবাঁধছে কোল ইন্ডিয়া। এখন অশোধিত তেল থেকে ওই গ্যাস তৈরি হয়। কেন্দ্রের লক্ষ্য, আট বছরে কয়লা থেকে ১০ কোটি টন গ্যাস উৎপাদন। কয়লা মন্ত্রকের দাবি, এর হাত ধরে বিদেশি মুদ্রা বাঁচবে। তৈরি হবে প্রায় ২৩,০০০ কাজ। ওই প্রকল্পে ৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি লগ্নির কথা।