পরিবেশ বিপর্যয়ের মোকাবিলাতেও বিমস্টেক-কে মঞ্চ করে একযোগে নামুক বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ৭ দেশ। —নিজস্ব চিত্র।
ব্যবসা বাড়ানো, সড়ক ও রেল সংযোগের পাশাপাশি ম্যানগ্রোভ বাঁচানো, পরিবেশ বিপর্যয়ের মোকাবিলাতেও বিমস্টেক-কে মঞ্চ করে একযোগে নামুক বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ৭ দেশ।
‘নবরূপে বিমস্টেক’ বিষয়ে শুক্রবারের আলোচনা সভায় এই ছিল বিভিন্ন সদস্য দেশের প্রতিনিধিদের আহ্বান। বিশ্ব উষ্ণায়নে দ্রুত গলছে পর্বতশীর্ষের হিমবাহ। প্রতিদিন কমে আসছে দুই মেরুর বরফ-সঞ্চয়। বেড়ে চলেছে সমুদ্রতলের উচ্চতা। তলিয়ে যাওয়ার খাঁড়া যে সব দেশগুলির মাথায় ঝুলছে, তাদের অনেকেই বিমস্টেকের সদস্য। আর প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেশ বাছাবাছি করে না।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সাংস্কৃতিক যোগাযোগের বিষয়টি স্কুল-কলেজের পাঠ্য বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জোরাল হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ডিন লিপি ঘোষ বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে বহু মানুষ তাইল্যান্ডে গিয়ে সাগর সৈকতে বেড়িয়ে চলে আসেন। তাঁদের দোষ নেই। সেখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক যোগাযোগের বিষয়ে তো তাঁরা সচেতনই নন।’’
আরও পড়ুন: উদ্ধবের শক্তিপরীক্ষার আগে বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দেখা করলেন অজিত পওয়ার, জল্পনা তুঙ্গে
অভিন্ন লোক উৎসব তো বটেই, রবীন্দ্রনাথও যোগসূত্র বিমস্টেকের সদস্য দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমারের মতো দেশের। এ নিয়ে পর্যটন সার্কিটের কথা ভাবলে দেশগুলির মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়বে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে ভিসার জটিলতা কমানো এবং শুল্কমুক্ত পর্যটন চালু করার প্রস্তাবও দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা।
আলোচনা সভার সংগঠক ‘অবজ়ার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’-এর ডিরেক্টর নীলাঞ্জন ঘোষ বলেন, ভারত সরকার যেমন ‘লুক ইস্ট’ নীতি নিয়েছেন, তাইল্যান্ডও তেমনই ‘লুক ওয়েস্ট’ নীতির কথা ঘোষণা করেছে। সঙ্গে দিল্লির ‘প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার’ ঘোষণা। এ সবই বিমস্টেকের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলেছে।
আশার পাশাপাশি উঠে এসেছে কিছু আশঙ্কার কথাও। দুই বড় শক্তি ভারত ও চিনের মনোমালিন্যে আসিয়ান-এর কাজকর্ম থমকে গিয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের আগুনে সম্পর্ক সার্ক-কে কার্যত শেষ করে দিয়েছে। রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের সম্পর্ক যে মাত্রায় তলানিতে এসে পৌঁছেছে, আলোচকদের আশঙ্কা— তার নেতিবাচক প্রভাব বিমস্টেক-কেও ছারখার করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: তেলঙ্গানায় তরুণী চিকিত্সকের দগ্ধ দেহের কাছেই মিলল আরও এক মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ