নীরব-কাণ্ডে দেশ জোড়া বিতর্কে প্রলেপ দিতে চার বছর আগের ঘোষণা ঝুলি থেকে বার করল মোদী সরকার। বেআইনি অর্থ লগ্নি সংস্থা সংক্রান্ত বিলটি এ বার পাঠানো হচ্ছে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য।
ক্ষমতায় এসে প্রথম বছরের বাজেটেই সারদা কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রুখতে কেন্দ্রীয় আইন সংশোধনের ঘোষণা হয়। চার বছর কেটে গিয়েছে। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বারবার নানা মঞ্চে এই বিল আনার কথা বলেছেন। কিন্তু তা আসেনি। মোদী মন্ত্রিসভার এক সদস্য আজ বলেন, ‘‘বেআইনি অর্থ লগ্নি সংক্রান্ত বিলটি মন্ত্রিসভায় পাঠানো হয়েছে। আগামী কাল বৈঠকেই তা অনুমোদিত হতে পারে।’’
কিন্তু চার বছর ঝুলিয়ে রেখে এখন কেন এই বিল আনার কথা ভাবছে কেন্দ্র? মন্ত্রী বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনা করতে সময় লাগে। কিন্তু এখন পিএনবি কাণ্ডের পরে মানুষের অর্থ যে নিরাপদ, তা বোঝাতে এই বিলটি কার্যকরী।’’ অর্থাৎ ইঙ্গিত, তড়িঘড়ি এই বিল আনা ভাবমূর্তি মেরামতিতেও।
আরও পড়ুন: পুরস্কারের পরে এ বার প্রশ্নের তির ভিজিল্যান্স কমিশনের
পশ্চিমবঙ্গ-সহ অনেক রাজ্যেই এ সংক্রান্ত বিল আছে। কিন্তু অনেকেই একাধিক রাজ্যে একসঙ্গে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চালান। তাই অভিন্ন আইন জরুরি। পুরনো আইন দিয়ে এই সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সেবির হাতেও পর্যাপ্ত ক্ষমতা নেই। মনমোহন জমানায় আইন আনার চেষ্টা হলেও তা পাশ করানো যায়নি।
বিরোধীদের অবশ্য এই আইন নিয়ে বিশেষ আপত্তি নেই। কিন্তু তারাও নিশ্চিত ভাবে বুঝতে পারছে, শেষ বছরে নিজেদের ভাবমূর্তি শোধরাতে এ ধরনের বিল আনতে চাইছে মোদী সরকার।