প্রতীকী ছবি
গত চার মাস ধরে সঙ্কটে বিশ্ব অর্থনীতি। পরিস্থিতি কবে শোধরাবে তা বলতে পারছেন না কেউ। অথচ আর্থিক কর্মকাণ্ড ঘুরে দাঁড়ানো ও করোনার টিকা বাজারে আসার আশাতেই প্রাথমিক ক্ষতি অনেকখানি পুষিয়ে দিয়েছিল শেয়ার বাজার। সেই সূচকই গত সপ্তাহ থেকে গতিপথ কিছুটা বদলাতে শুরু করেছে। আর সোমবার বড় পতনের মুখ দেখল সেনসেক্স, নিফ্টি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পিছনে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া শেয়ার দরের সংশোধন তো আছেই। কিন্তু তাকে ইন্ধন জুগিয়েছে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সদ্য প্রকাশিত ফল। যেখানে দেখা গিয়েছে, জুনে ১৫% সঙ্কোচন হয়েছে ওই ক্ষেত্র। আর একটি কারণ জুলাইয়ে উৎপাদন শিল্পে সঙ্কোচনের ইঙ্গিত।
এ দিন সেনসেক্স ৬৬৭.২৯ পয়েন্ট পড়ে থেমেছে ৩৬,৯৩৯.৬০ অঙ্কে। নিফ্টি ১৮১.৮৫ নেমে ১০,৮৯১.৬০-তে। এই নিয়ে চার দিনে সেনসেক্স ও নিফ্টি পড়ল যথাক্রমে ১৫৫৩.৩৫ ও ৪০৮.৯৫ পয়েন্ট। এ দিন ডলারের নিরিখে পড়েছে টাকাও। প্রতি ডলারের দাম ২০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫.০১ টাকা।
পতন
দিন সেনসেক্স
বুধ ৪২১.৮২
বৃহস্পতি ৩৩৫.০৬
শুক্র ১২৯.১৮
সোম ৬৬৭.২৯
মোট
১৫৫৩.৩৫
পড়ছে কেন
• জুনে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উৎপাদন কমা।
• জুলাই-সহ টানা চার মাস কল-কারখানায় উৎপাদন কমে যাওয়ার ইঙ্গিত।
• অল্প সময়ে দ্রুত উত্থানের পরে বাজারে সংশোধন।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি কমল পারেখ বলেন, ‘‘গত চার মাসের কিছু বেশি সময়ে বাজার বেড়েছে প্রায় ৩৫%। কার্যত কোনও সংশোধন ছাড়াই। অথচ এটা আগেই হওয়া উচিত ছিল।’’ তবে বাজার ফের তেজি হবে বলে মনে করছেন অনেকে। দেকো সিকিউরিটিজ়ের কর্ণধার অজিত দে বলেন, ‘‘শেয়ার বাজারে ছোট লগ্নিকারীর সংখ্যা কিন্তু বেড়েছে। ব্যাঙ্কে সুদ দ্রুত কমতে থাকাই এর প্রধান কারণ।’’