ফাইল চিত্র।
অতিমারির জেরে গত দু’বছর রাজ্যে বসেনি বেঙ্গল গ্লোবাল বিজ়নেস সামিটের (বিজিবিএস) আসর। এ বার করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলে রাজ্য অবশ্য ষষ্ঠ বিজিবিএসের প্রস্তুতি জোরদার ভাবে নিয়েছিল। সেই শিল্প সম্মেলনের মঞ্চ থেকে দেশ-বিদেশের শিল্প মহলের কাছে বিনিয়োগ বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিল্প-কর্তারাও তাঁদের লগ্নি-ভাবনা তুলে ধরেছেন। তবে শুধু সেই মঞ্চই নয়, রাজ্যের উদ্দেশে তাদের বার্তা দিতে সম্মেলনের ফাঁকেই জাতীয় পরিষদের (ন্যাশনাল কাউন্সিল) বৈঠকের আয়োজন করল বণিকসভা সিআইআই। শিল্প-কর্তাদের সঙ্গে সেখানে আলাপচারিতায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রীও।
এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে ফিকির জাতীয় এগ্জ়িকিউটিভ কমিটির বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিআইআই সূত্রের খবর, বিজিবিএসের ফাঁকে তাদের এই জাতীয় পরিষদের বিশেষ বৈঠক এই প্রথম। বণিকসভাটির প্রেসিডেন্ট টি ভি নরেন্দ্রন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিক্রম কির্লোস্কার, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব বজাজ, ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্যরা মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গেও কিছুক্ষণ বৈঠক করেন। বণিকসভা সূত্রের খবর, ইন্টারগ্লোব অ্যাভিয়েশনের কর্তা রণজয় দত্তকে কলকাতা থেকে আরও আন্তর্জাতিক উড়ান চলাচলের আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে সিআইআইয়ের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নরেন্দ্রন রাজ্যে আর্থিক পরিস্থিতিও ব্যাখ্যা করেন। শিল্পমহলের একাংশের মতে, আন্তর্জাতিক শিল্প সম্মেলনের ফাঁকে সিআইআই, ফিকি-র মতো বণিকসভাগুলির জাতীয় স্তরের বৈঠক নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।