ফাইল চিত্র।
অতিমারিতে বিধ্বস্ত আবাসন শিল্পে অক্সিজ়েন জোগাতে পশ্চিমবঙ্গে গত জুলাইয়ে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনের স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেট (বিভিন্ন এলাকায় সম্পত্তির দামের সরকারি হার) কমিয়েছিল রাজ্য। দু’দফায় বৃদ্ধির পরে সুবিধা শেষ হওয়ার কথা ৩১ মার্চ। বাজেটে তার মেয়াদ আরও ছ’মাস বাড়াল রাজ্য। ছাড় মিলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আবাসন ক্ষেত্র।
ইতিমধ্যেই সমীক্ষায় প্রকাশ, এই দুই ছাড় বৃহত্তর কলকাতায় ফ্ল্যাট-বাড়ির বিক্রি বাড়িয়েছে। কিন্তু কাঁচামালের দাম বাড়ায় আবাসনেরও দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা। এর জেরে বিক্রি কমবে কি না, সেই উদ্বেগ দানা বাঁধছে। তাই ক্রেতা টানতে সেগুলির মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিল শিল্প।
আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন ক্রেডাইয়ের পশ্চিমবঙ্গের প্রেসিডেন্ট সুশীল মোহতার বক্তব্য, এই সিদ্ধান্ত কিছুটা স্বস্তি দেবে। বাড়ি কিনতে উৎসাহিত হবেন অনেকে। গত ছ’মাসে স্ট্যাম্প ডিউটি ও সার্কল রেট কমানোর সুফল পেয়েছে আবাসন শিল্প। রাজ্য ঘরে তুলেছে ৮০০০ কোটি টাকা। তাঁদের আর্জি, তৈরি বাড়ির স্ট্যাম্প ডিউটিও স্থায়ী ভাবে ২% কমুক।
উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্রাঙ্কের সিনিয়র ডিরেক্টর (কলকাতা) স্বপন দত্তর আশা, বাজেট প্রস্তাব বিশেষত সস্তার ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়াবে। তবে সুশীলের দাবি, স্ট্যাম্প ডিউটি, রেজিস্ট্রেশনের খরচ বাদেও শিল্প এবং ক্রেতার বোঝা বাড়ে জিএসটিতে। রয়েছে কাঁচামালের উপর জিএসটি, যা ফেরত মেলে না। তার উপরে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়ামের দাম বাড়ায় আবাসন তৈরির খরচও ২০% বেড়েছে।