প্রতিবাদ: বেঙ্গল কেমিক্যালস বিক্রির উদ্যোগের প্রতিবাদে বিজ্ঞান মঞ্চের বিক্ষোভ কারখানার গেটের সামনে। নিজস্ব চিত্র
দীর্ঘ কয়েক দশকের লোকসানের গেরো কাটিয়ে গত কয়েক বছর টানা লাভের মুখ দেখেছে শতাব্দী প্রাচীন বেঙ্গল কেমিক্যালস। কিন্তু তখনই এই সংস্থা বিলগ্নিকরণের ভাবনার যৌক্তিকতা কী, প্রতিষ্ঠাতা আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে সেই প্রশ্নই তুললেন সংস্থার কর্মীরা।
বাঙালি যে সংস্থা গড়তে পারে এবং বিদ্যার সঙ্গে ব্যবসার যে আড়ি নেই— এই দু’য়ের উদাহরণ হিসেবে প্রায়ই ওঠে বিজ্ঞানীর হাতে গড়া বেঙ্গল কেমিক্যালসের কথা। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে সরকারি শেয়ার বিক্রির কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। যার বিরোধিতায় শুক্রবার সংস্থার দুই কারখানা এবং কাঁকুরগাছিতে প্রতিবাদসভা করে বিভিন্ন সংগঠন।
কর্মীদের দাবি, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে তাঁরা কঠিন সময় পার করেছেন। এখন সংস্থার সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি। মিনিরত্ন হওয়ার সম্ভাবনা। তাঁদের প্রশ্ন, সংস্থা ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম প্রমাণ হওয়ার পরেও বিলগ্নিকরণের অর্থ কী?
কর্মীদের মধ্যে প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের বেতন সংস্থার আয় থেকে হয়। সংস্থা চালাতে কেন্দ্রকে নতুন করে ঋণ দিতে হয়নি। পুরনো ঋণও মেটাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।’’ চন্দন কুমার জানার কথায়, ‘‘সংস্থার জমি ও পরিকাঠামো রয়েছে। ব্যবসা সম্প্রসারণে তা কাজে লাগানো যায়।’’ অস্থায়ী কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে শান্তনু বসু বলেন, ‘‘লাভের পথে থাকতে বরং আরও কর্মী প্রয়োজন।’’ সভা উদ্যোক্তাদের দাবি, আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।