—প্রতীকী ছবি।
অতিমারির আগে থেকেই অর্থনীতির বেহাল দশায় ঋণ নেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছিল না সংস্থাগুলি। তাদের ঋণ দেওয়ায় সে ভাবে উৎসাহ দেখাচ্ছিল না অনুৎপাদক সম্পদের (এনপিএ) ধাক্কায় জেরবার ব্যাঙ্কগুলিও। উল্টে ব্যবসা বাড়াতে খুচরো ঋণে জোর দিচ্ছিল তারা। যেখানে এনপিএ তুলনায় কম। কিন্তু করোনা থাবা বসিয়েছে তাতেও। ব্যাঙ্কিং শিল্পেরই একাংশের আশঙ্কা, এ বার খুচরো ঋণেও দ্রুত বাড়ছে অনুৎপাদক সম্পদ। যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ফলে এ দিকে যেমন ওই সব ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে, তেমন তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুদ বাড়ার সম্ভাবনাও।
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের এমডি-সিইও অমিতাভ চৌধুরীর মতো একাংশের মতে, করোনার কারণে তৈরি হওয়া আর্থিক পরিস্থিতিতে চাকরি হারানো বা বেতন কমায় সাধারণ মানুষের রুজি রোজগারে টান পড়েছে। ফলে তাঁদের ভোগ্যপণ্য, গৃহ ও গাড়িঋণ ইত্যাদি শোধে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তার উপরে লকডাউনে চূড়ান্ত ভাবে মার খেয়েছে ছোট-মাঝারি শিল্প। ফলে এই ক্ষেত্রেও ঋণ শোধে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে ব্যাঙ্কিং মহলে। তাঁর কথায়, ‘‘ঝুঁকি বাড়ায় ওই সব ঋণে সুদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে।’’