বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ফাইল চিত্র।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের নিবন্ধে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে ‘ধীরে চলো’ নীতি নেওয়ার বার্তা ছিল। বলা হয়েছিল, ঢাকঢোল পিটিয়ে বিরাট আকারে হাতবদলের যজ্ঞ উপকারের বদলে সমাজের অপকার করবে বেশি। নিবন্ধ সামনে আসার পরেই মোদী সরকারের ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়ে ফের তোপ দেগেছে রাজনৈতিক মহল, ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি। সকলেই বিরোধিতার হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরছে ওই নিবন্ধকে। তবে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক এ দিন জানিয়েছে, ওই নিবন্ধের লেখা আরবিআইয়ের বক্তব্য নয়। একান্ত ভাবেই লেখকের নিজস্ব কথা।
নিবন্ধে লেখা ছিল, বেসরকারি ব্যাঙ্ক মুনাফা বাড়াতে দক্ষ হলেও দেশের সব মানুষকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় এনে উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় শামিল করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে রাষ্ট্রায়ত্তগুলি। তাদের আর্থিক হালও ক্রমশ ভাল হচ্ছে। বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ এবং লেখকের কথা উল্লেখ করে তাতে বলা হয়েছে যে, তাঁরাও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পক্ষেই সওয়াল করেছেন। তাই ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ ধীরেসুস্থে বাস্তবায়িত করলে সকলের জন্য উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি হবে না।
কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ সেই প্রেক্ষিতেই কেন্দ্রকে বিঁধে টুইটে বলেন, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ২৭ থেকে কমিয়ে ১২ করা হয়েছে। কেন্দ্রের লক্ষ্য তা ১-এ নামানো। কিন্তু রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কই বলেছে এটা করার অর্থ ব্যাঙ্ক শিল্প এবং দেশের পক্ষে বিপর্যয় ডেকে আনা।’’
কর্মী সংগঠন বিএমএসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সিংহ বলেন, “দেশের স্বার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। অথচ কেন্দ্র বেসরকারিকরণ করবেই। ১৭ নভেম্বর এর বিরুদ্ধে দিল্লিতে মিছিল-সমাবেশ করব।’’এআইবিইএ-র সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, “শীর্ষ ব্যাঙ্কের এক শীর্ষ কর্তা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করায় খুশি। ২৯ বছর ধরে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। কেন্দ্র সেগুলি দ্রুত বেচতে চায়।এতে দেশের ক্ষতি হবে।’’ ইউইএফবিইউ-র আহ্বায়ক গৌতম নিয়োগী ও সর্ব ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কঅফিসার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাস জানান, “জনধন অ্যাকাউন্ট, স্বনিধি যোজনা, অটল পেনশনের মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের ৯০%-৯৭% কাজ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। দেরিতে হলেও শীর্ষ ব্যাঙ্কের গবেষকরা তার উপযোগিতা স্বীকার করেছেন।’’