সমস্যায় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি)-র কর্মীরা। ফাইল চিত্র।
গত বছর ১ এপ্রিল থেকে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (পিএনবি) সঙ্গে মিশেছে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অব কমার্স (ওবিসি)। আর ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সঙ্গে মিশেছে এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক। কিন্তু ব্যাঙ্ক সংযুক্তি হলেও, তাদের তথ্যপ্রযুক্তিগত সংযুক্তির কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। যে কারণে সমস্যায় পড়ছেন বিশেষত পিএনবি এবং ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশ। এর জেরে তাঁদের কর্মচারী সমবায় সমিতির টাকা জমা পড়ছে না ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে। যার মধ্যে রয়েছে ওই সমবায় ব্যাঙ্ক বা সমিতি থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তিও। ফলে ওই সব ঋণ অনুৎপাদক সম্পদ হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, সিবিলের খাতায় কর্মীদের ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ারও। পিএনবি কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির কর্মী এবং অফিসারদের রাজ্য ভিত্তিক সমবায় সমিতির নামই ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেড। এটি শুধু সমবায় সমিতিই নয়, বরং আইনত রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আওতায় থাকা রাজ্যভিত্তিক শহুরে সমবায় ব্যাঙ্ক হিসেবেই কাজ করে। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত এবং কিছু বেসরসকারি ব্যাঙ্কের কর্মী ও অফিসারেরা এর সদস্য। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী সদস্যদের দেয় মাসিক সাবস্ক্রিপশন, থ্রিফট ফান্ডের টাকা তো এখানে জমা পড়েই। সমবায় সমিতি থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকাও প্রতি মাসে সংশ্লিষ্ট সদস্যদের বেতন থেকে কেটে সমবায় ব্যাঙ্কে জমা দেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কটির চেয়ারম্যান অরূপ চৌধুরীর অভিযোগ, “মূলত পিএনবি-র সঙ্গে মিশে যাওয়া ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক এবং ওবিসি-র মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তিগত সংযুক্তির কাজ পুরো না-হওয়াতেই কর্মীদের বেতন থেকে টাকা কেটে সমবায় ব্যাঙ্কে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না।’’ পিএনবি-তেই সব থেকে বেশি সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘‘ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কেও সমস্যা রয়েছে। এমনিতে সদস্যদের বেতন থেকে টাকা কেটে আমাদের ব্যাঙ্কে পাঠানোর কথা। কিন্তু তা সম্ভব না-হওয়ায় অনুৎপাদক সম্পদ হওয়া আটকাতে অনেক ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট সদস্যদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে পাঠাচ্ছেন।’’ ঋণ শোধ না-হাওয়ায় ওই সব সদস্য নতুন করে ঋণও পাচ্ছেন না। অরূপবাবু বলেন, ইতিমধ্যেই রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক তাঁদের জানিয়েছে যে, এ ভাবে চলতে থাকলে ওই সব ঋণকে অনুৎপাদক সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা সদস্যেরা ঋণখেলাপি হিসেবেও চিহ্নিত হতে পারেন।