ভাঁড়ার ভাগে প্রশ্ন ব্যাঙ্কের কর্মীদেরও

এআইবিইএ অবশ্য বলছে, রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে যে ভাবে তাদের ইচ্ছের কাছে কার্যত মাথা নত করতে বাধ্য করল কেন্দ্র, সেটা চিন্তার ব্যাপার। তাদের প্রশ্ন, এর ফল কী হবে?

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৯ ০৫:১৭
Share:

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ফাইল চিত্র।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার থেকে টাকা ‘চুরি’ করার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। আরবিআইয়ের বাড়তি ভাঁড়ারের ভাগ কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে এ বার তীব্র আপত্তি জানালেন ব্যাঙ্ক কর্মীরাও। বুধবার তাঁদের সংগঠন এআইবিইএ-র তরফে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ফলে আশা করা যায় যে, তারা অর্থ মন্ত্রকের সম্প্রসারিত শাখা হিসেবে কাজ করবে না। বরং তাদের নির্দিষ্ট কাজ আছে, যেখানে কারও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’’ তবে এ দিনই সূত্রের দাবি, যে ১,৭৬,০৫১ কোটি টাকা কেন্দ্রকে দেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, তার মধ্যে ২০১৮-১৯ সালের জন্য ১,২৩,৪১৪ কোটি উদ্বৃত্ত (সারপ্লাস) থেকে দেওয়া যাবে বছরভর বন্ড কেনা ও হিসেবের পদ্ধতি বদলানোর জেরে হওয়া আয়ের জোরেই। বাকি ৫২,৬৩৭ কোটির উৎস শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঝুঁকি সামলানোর তহবিলে হাতে থাকা টাকা।

Advertisement

এআইবিইএ অবশ্য বলছে, রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে যে ভাবে তাদের ইচ্ছের কাছে কার্যত মাথা নত করতে বাধ্য করল কেন্দ্র, সেটা চিন্তার ব্যাপার। তাদের প্রশ্ন, এর ফল কী হবে?

তবে সূত্র বলছে, বাজারে নগদ জোগাতে নাগাড়ে বন্ড কিনেছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ফলে বাড়তি ৩৬,০০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। হিসেব-নিকেশের পথ বদলে এসেছে আরও ২১,০০০ কোটি। সব মিলিয়ে ৫৭,০০০ কোটি। তাদের মতে, এই টাকা হাতে না এলে জালান কমিটির সুপারিশ মানা যেত না। তবে ভাঁড়ার ভাগ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement