রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ডি সুব্বারাও।—ফাইল চিত্র।
শুধু জরুরি নয়, অনিবার্যও। ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলির অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) মাথাচাড়া দেওয়া যখন কার্যত অবশ্যম্ভাবী, তখন ‘ব্যাড ব্যাঙ্ক’ সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর ডি সুব্বারাও। সেই সুব্বারাও, যিনি এক সময়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন। বুধবার এক সাক্ষাৎকারে মত বদলের কথা স্বীকার করে নিয়ে তাঁর বক্তব্য, অবস্থা বদলেছে। অনাদায়ি ঋণ মোকাবিলায় দেউলিয়া বিধি তৈরি হলেও, তার কাঁধে এখন বহু মামলার বোঝা। সমস্যার সমাধানে এখন ‘ব্যাড ব্যাঙ্ক’ ছাড়া গতি নেই।
২০১৭ সালের আর্থিক সমীক্ষায় ‘ব্যাড ব্যাঙ্কের’ প্রস্তাব করা হয়েছিল। যা আদতে বিশেষ সংস্থা (স্পেশাল পারপাস ভেহিকল), যারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির থেকে অনুৎপাদক সম্পদ কিনে তা বিক্রি করবে। সেই পথেই মোকাবিলা করা যাবে এনপিএ-র সমস্যা। কিন্তু তখন সেটি তৈরি হয়নি।
এ দিকে বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, করোনার জেরে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি ৩.৫%-৯% কমতে পারে। ঋণ ফেরত দিতে সমস্যায় পড়তে পারে সংস্থা, খুচরো গ্রাহকেরা। আর্থিক স্থিতিশীলতা রিপোর্টে ২০২১ সালের মার্চের মধ্যে এনপিএ-র হার ১২.৫ শতাংশে পৌঁছনোর আশঙ্কা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও।
সুব্বারাওয়ের মতে, ‘ব্যাড ব্যাঙ্কের’ মাধ্যমে এনপিএ বিক্রি হলে দরাদরির মাধ্যমে বাইরে থেকে তার দামকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ কম। ফলে কমবে স্বার্থের সংঘাত এবং দুর্নীতির সম্ভাবনা। তাঁর পরামর্শ, মালয়েশিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশে সফল ‘ব্যাড ব্যাঙ্ক’ রয়েছে। সেগুলিকেই মডেল ধরে নিয়ে কাজ শুরু করা যেতে পারে।