রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
বণিকসভার সঙ্গে প্রথম বৈঠকে পরিচিত ছক ভাঙলেন রাজ্যের নতুন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার সিআইআইয়ের ‘আইসিটি ইস্ট ২০২২’ সম্মেলনে নিজের বক্তব্য পেশের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সরাসরি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প কর্তাদের কাছে তাঁদের চাহিদা ও রাজ্যে লগ্নির পরিকল্পনা জানতে চাইলেন তিনি। জবাবে এলঅ্যান্ডটি গোষ্ঠীর মাইন্ডট্রি এবং ওরাকল নেটস্যুট গ্লোবাল বিজ়নেসের কর্তারা রাজ্যে আরও বেশি করে উপস্থিতির কথা জানালেন। এলঅ্যান্ডটির দাবি, তারা আগামী চার-পাঁচ বছরে রাজ্যে ২০,০০০ কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নিচ্ছে। বিপণন অফিসের পরে শাখা খোলার কথা ভাবছে ওরাকল।
বাবুল বলেন, ‘‘হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, গুরুগ্রামে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য কার্যত আর জায়গা নেই। পরের গন্তব্য হোক পশ্চিমবঙ্গ। আপনারা অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করেছেন। এখানে লগ্নির খরচও কম। এ রাজ্যের দরজা খোলা। ভিতরে ঢুকলে কোনও অন্ধকার দেখতে পাবেন না। আপনারা কী চান জানান।’’ তবে তাঁর দাবি, এক জানলা নীতি বলে কিছু হয় না। লগ্নি টানতে কয়েকটি জানলার প্রয়োজন।
এর মধ্যেই ওরাকলের অন্যতম কর্তা শৈলন্দ্র কুমারকে মন্ত্রীর জিজ্ঞাসা, ‘‘আপনাদের প্রস্তাবের কী হল?’’ শৈলেন্দ্র জানান, রাজ্যে তাঁদের একটি বিপণন কেন্দ্রের কর্মী সংখ্যা ৫০। শীঘ্রই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে তাঁরা অধিগ্রহণ করবেন। তার পরে কলকাতায় একটি শাখা চালু হবে। প্রায় ৫০০ জন কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারে সঙ্গে একটি ডেটা সেন্টার তৈরিতেও আগ্রহী তাঁরা।
গত মার্চে কলকাতায় শাখা খুলেছে মাইন্ডট্রি। তার পরে চালু হয় এলঅ্যান্ডটি ইনফোটেকের কেন্দ্রও। দু’টিই এলঅ্যান্ডটি গোষ্ঠীভুক্ত। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজারহাটে নিজস্ব কেন্দ্র গড়ার জন্য ১৯ একর জমি নিয়েছে এলঅ্যান্ডটি। মাইন্ডট্রির সিইও-এমডি দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় এ দিন জানান, তাঁদের শাখায় এখন কর্মী সংখ্যা ১৭০০। রাজারহাটের কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে এলঅ্যান্ডটি। ১৫,০০০-২০,০০০ কর্মী কাজ করার সুযোগ পাবেন। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আগামী দিনে মাইন্ডট্রি এবং এলঅ্যান্ডটি ইনফোটেক মিশে যাওয়ার কথা।