প্রতীকী ছবি।
দেশের আর্থিক অবস্থার অন্যতম মাপকাঠি গাড়ি শিল্প। পুজোর মরসুমে গাড়ির বিক্রি বৃদ্ধির ছবিটা তাই কিছুটা আশার সঞ্চার করেছিল শিল্পমহলের মধ্যে। গাড়ি ও তার যন্ত্রাংশ, দু’ক্ষেত্রের সংস্থারই আশা, এই চাহিদা বহাল থাকবে উৎসবের মরসুম পার করেও। তবে তার মধ্যেই কিছুটা সতর্ক থাকার পক্ষপাতী একাংশ। গাড়ির যন্ত্রাংশ সংস্থাগুলির সংগঠন অ্যাকমা তাই বলছে, অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের বিপুল ধাক্কা খানিকটা কাটলেও, গোটা বছর ধরলে এই শিল্পে সঙ্কোচনের হার ১০% বা তার বেশি হবে। করোনা ও তাকে রুখতে লকডাউনের ধাক্কায় প্রথম ছ’মাসে অবশ্য ৩৪% সঙ্কোচন দেখতে হয়েছে তাদের।
লকডাউন ওঠার পরে গাড়ি বিক্রি বাড়লেও, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলে। আশাবাদী হলেও তাঁরা যে এ বিষয়ে সতর্ক, তা সম্প্রতি স্পষ্টই বলেছেন অ্যাকমার প্রেসিডেন্ট দীপক জৈন ও ডিরেক্টর জেনারেল বিন্নি মেহতা। এক প্রশ্নের জবাবে দীপক জানান, করোনার আগে ২০১৯-২০ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই ধাক্কা খেয়েছিল এই শিল্প। গত দু’বছরে বিক্রি বৃদ্ধি দূরের কথা, প্রায় ২৫% সঙ্কোচন হয়েছে। এর উপরে করোনা মিলিয়ে শিল্পটি পিছিয়ে গিয়েছে তিন-চার বছর। ২০১৮-১৯ সালের সর্বোচ্চ শিখরে ফের পা রাখতে তাই অন্তত দু’তিন বছর সময় লাগবে। তবে অ্যাকমার কর্তাদের মতে, সবই নির্ভর করবে অর্থনীতি কত দ্রুত ছন্দে ফিরবে তার উপরে।
দীপক বলেন, ‘‘চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধের ব্যবসা সম্পর্কে আমরা আশাবাদী। কিন্তু প্রথম দুই ত্রৈমাসিকের ধাক্কার পুরোটা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না।’’ এর আগে গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়াম জানিয়েছিল, সব কিছু ঠিকঠাক চললেও গাড়ি ব্যবসায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরতে বছর তিন-চার সময় লাগবে।