প্রতীকী ছবি।
ভারতে উৎসবের মরসুমে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো গাড়ি বিক্রিতে জোয়ার আসাটাও দস্তুর। এ রীতি বহু বছরের। ফলে অতিমারির দেড় বছর পরে এ বারেও সেই ৪২ দিনের বিক্রিবাটা নিয়ে আশায় ছিল গাড়ি শিল্প। কিন্তু মরসুমের গোড়ার দিকের বিক্রিবাটা দেখেই প্রমাদ গোনে তারা। ডিলারদের সংগঠন ফাডা জানায়, তাদের কাছে এই উৎসব হতে পারে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। বৃহস্পতিবার সেই মরসুম শেষ হওয়ার পরে বিক্রির হিসাব প্রকাশ করে তারা জানাল, আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এই অক্টোবরেও শোরুম থেকে গাড়ির বিক্রি ফের তলিয়েছে।
করোনার আগে থেকেই দেশে গাড়ির চাহিদা ধাক্কা খাচ্ছে। করোনার ধাক্কায় তা খাদের আরও কিনারায় পৌঁছয়। ফাডা প্রেডিডেন্ট ভিঙ্কেশ গুলাটির দাবি, কম দামি দু’চাকা ও চার চাকার গাড়ির সম্ভাব্য ক্রেতারা গাড়ি কেনার ভাবনার বদলে এখনও স্বাস্থ্য খাতের খরচের জন্য হাতে টাকা রাখাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। আবার দামি বা এসইউভির ক্ষেত্রে চাহিদা থাকলেও তার সবটা জোগান দেওয়া যাচ্ছে না যন্ত্রাংশের জোগানে ঘাটতির জন্য। সব মিলিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে বিক্রি।
প্রতি বছর মোটামুটি ভাবে উৎসবের মরসুম পড়ে সেপ্টেম্বর-নভেম্বরের মধ্যে। ফাডার হিসাব, ওই সময়ে সার্বিক গাড়ি বিক্রি গত বছরের চেয়ে ১৮ শতাংশেরও বেশি কমেছে। ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনায় বিক্রি হ্রাস প্রায় ২১%। শুধু অক্টোবরের হিসাবে (২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে) সার্বিক গাড়ি বিক্রি কমেছে ৫%। ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ২৭%। ফাডা-কর্তা জানান, চাহিদায় ঘাটতির জেরে দু’চাকার গাড়ি শোরুমে পড়ে থাকছে ৪০-৪৫ দিন। ডিলারদের আর্থিক বোঝাও বাড়ছে।