ছবি সংগৃহীত।
করোনার তিন ঢেউয়ের পর চতুর্থ ঢেউয়ের কথাও মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা। সমস্যা বাড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সারা বিশ্বে মাথা তুলছে মূল্যবৃদ্ধি। প্রত্যাশার তুলনায় শ্লথ হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে অর্থনীতি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) তাদের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক রিপোর্টে জানাল, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.২%। যা এপ্রিলের পূর্বাভাসের (৭.৫%) তুলনায় ৩০ বেসিস পয়েন্ট কম। পূর্বাভাস ছেঁটেছে বণিকসভা ফিকি ও ব্রোকারেজ সংস্থা মর্গ্যান স্ট্যানলিও।
২০২০-২১ অর্থবর্ষের নিচু ভিতের নিরিখে গত অর্থবর্ষের প্রথম তিন ত্রৈমাসিকে ভাল গতিতেই এগিয়েছিল ভারতীয় অর্থনীতি। কিন্তু চতুর্থ ত্রৈমাসিকে তা ফের নেমে আসে ৪.১ শতাংশে। এডিবির রিপোর্টে মন্তব্য, মূল্যবৃদ্ধি মাথাচাড়া দেওয়ার ফলে সেই সময় থেকেই সাধারণ মানুষের কেনাকাটা নতুন করে ধাক্কা খেতে থাকে। তার বিরূপ প্রভাব পড়ে উৎপাদন ক্ষেত্রেও। বলা হয়েছে, ‘‘ওমিক্রন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ভারতের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। এই বিষয়গুলিকে হিসাবের মধ্যে রেখে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৫% থেকে কমিয়ে ৭.২% করা হল।... ক্রেতাদের আত্মবিশ্বাস বাড়লেও প্রত্যাশার তুলনায় বেশি মূল্যবৃদ্ধি তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা কমাবে।’’ তাদের নিজেদের হিসাবে অনুযায়ী গত অর্থবর্ষের বৃদ্ধির হার ৮.৯% থেকে সংশোধন করে ৮.৭% করেছে আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থাটি। জানিয়েছে, তেলের উৎপাদন শুল্ক কমানো, সার-গ্যাসে ভর্তুকি এবং নিখরচায় খাদ্যশস্য বণ্টন কর্মসূচি মূল্যবৃদ্ধিকে কিছুটা ঠেকিয়ে রাখলেও সুদ বৃদ্ধির ফলে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি কমতে পারে। যা আর্থিক কর্মকাণ্ডের গতি কমাবে।
ঠিক একই কারণে ফিকি এ বছরের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৭.৪% থেকে কমিয়ে করেছে ৭%। জানিয়েছে, অন্তত তিনটি ত্রৈমাসিকে মূল্যবৃদ্ধির হার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের সহনশীলতার মাত্রার উপরে থাকতে পারে। তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সুদের হার নিয়ে যাওয়া হতে পারে ৫.৬৫ শতাংশে। উল্লেখ্য, প্রশাসনিক কারণে ঋণনীতির আগামী বৈঠক এক দিন পিছিয়ে দিয়েছে শীর্ষ ব্যাঙ্ক। ফল প্রকাশ হবে ৫ অগস্ট।