—প্রতীকী চিত্র।
গত তিন বছরে দেশে প্রায় অর্ধেক মানুষই (৪৭%) আর্থিক প্রতারণার সম্মুখীন হয়েছেন বলে উঠে এল সমীক্ষায়। যেখানে ইউপিআই এবং ক্রেডিট কার্ডে বেশি জালিয়াতি হয়েছে। শুধু তা-ই নয়। লোকালসার্কলের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ৫০ শতাংশের বেশি ব্যক্তিই ক্রেডিট কার্ডে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। দেশি-বিদেশি সব ধরনের সংস্থা ও ওয়েবসাইটেই বেশি চার্জের ঘটনা দেখা গিয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এই প্রতারণা রুখতে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া এবং গ্রাহক সচেতনতা জরুরি বলে জানাচ্ছে সংস্থাটি।
প্রথম দফায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে ডিজিটাল লেনদেন প্রসারে জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের অন্যতম কারণ হিসেবেও ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানোকে তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকি অতিমারি এবং তার পরে এই ব্যবস্থার প্রসার বেড়েছে অনেকটাই। কিন্তু এ সবের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আর্থিক প্রতারণাও।
এই পরিস্থিতিতে দেশের ৩০২টি জেলার ২৩,০০০ জন বাসিন্দাকে নিয়ে করা সমীক্ষা জানাচ্ছে, ৪৩% মানুষই ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। ৩৬% বলেছেন ইউপিআই লেনদেনে প্রতারণার কথা। ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে আবার ৫৩% উত্তরদাতা তাঁদের লেনদেনে বেআইনি চার্জ বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরে লোকালসার্কল জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে আর্থিক জালিয়াতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজারেরও বেশি। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত অর্থের পরিমাণ প্রায় অর্ধেক হয়ে নেমেছে ১৩,৯৩০ কোটি টাকায়। কিন্তু তেমনই গত তিন বছরে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জন দেশবাসীই কোনও তদন্তকারী সংস্থা বা নিয়ন্ত্রকের কাছে আর্থিক প্রতারণার কথা জানাননি বলেও উঠে এসেছে। না হলে সামগ্রিক জালিয়াতির অভিযোগ আরও বাড়ত।