—প্রতীকী চিত্র।
রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, গত দুই অর্থবর্ষে দেশে বকেয়া গৃহঋণ বেড়েছে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকা। এ বছরের মার্চে তা নজিরবিহীন ভাবে ছুঁয়েছে ২৭.২৩ লক্ষ কোটি। ব্যাঙ্ক ও আবাসন মহলের দাবি, শোধের প্রক্রিয়া চলছে, এমন গৃহঋণ বৃদ্ধির এই হিসাব কোভিডের পরে বসবাসের জন্য ফ্ল্যাট-বাড়ির বাজার পুনরুজ্জীবিত হওয়ার প্রমাণ। যা এক সময়ে তলিয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে বড় অংশ জমে থাকা চাহিদা। তবে কেউ কেউ মনে করাচ্ছেন, হালে মূল্যবৃদ্ধির জেরে ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম বেড়েছে। দামি আবাসন বিক্রির সংখ্যা বেড়েছে বলেও দাবি নানা সমীক্ষায়। ফলে সেগুলি কিনতে ধার নিতে হচ্ছে বেশি। গড়ে গৃহঋণের অঙ্ক বেড়েছে। তাই সার্বিক বকেয়াও এত বেশি।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রশ্ন, আবাসনের চাহিদা বাড়লেও সব ক্ষেত্রে ধার শোধের যোগ্যতা বহাল রয়েছে বা বেড়েছে কি? তাঁদের বক্তব্য, কোভিডের কিছুটা আগে থেকে জমে থাকা চাহিদা কার্যকর হওয়ার ফলে বহু মানুষ ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনার দিকে ঝুঁকেছেন। যাঁদের হাতে প্রচুর টাকা-পয়সা রয়েছে, তাঁরা বেশি দামও দিচ্ছেন। কিন্তু অনেকেই আবার গৃহঋণ শোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। এর কারণ, চড়া সুদ। জ্বালানি সমেত জিনিসপত্রের চড়া দাম। আনাজ-সহ খাদ্যপণ্য কিনতেও অনেক বেশি টাকা লাগছে। কোভিড ও মূল্যবৃদ্ধির পর পর ধাক্কায় বহু মানুষেরই আয় বাড়েনি। অথচ খরচ মাত্রাছাড়া হয়েছে। এই অবস্থায় অনাদায়ি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির আশঙ্কাও থেকেই যায়। যে কারণে এই ধারের কতটা শোধযোগ্য, তা খতিয়ে দেখার উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা।