—প্রতীকী চিত্র।
আগামী আড়াই দশকের মধ্যে ভারতকে ৩৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে হলে জিডিপি বৃদ্ধির হার ধারাবাহিক ভাবে ৯%-১০% হতে হবে বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও তথা ভারতের জি-২০ শেরপা অমিতাভ কান্ত। আজ অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মসূচিতে সেই বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি। অন্য এক অনুষ্ঠানে ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগড়িয়া জানান, আর্থিক বৃদ্ধির হারকে ১০ শতাংশে নিয়ে যেতে গেলে রফতানি বাড়ানোয় নজর দিতে হবে।
২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। গত রবিবার যখন কান্ত এর জন্য প্রয়োজনীয় বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন, তখন বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কারণ, অতিমারির পরে আর্থিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরলেও বৃদ্ধির স্বাভাবিক হার এখনও ৮ শতাংশে পৌঁছয়নি। অদূর ভবিষ্যতে ছোঁয়ার পূর্বাভাসও মেলেনি কোনও সমীক্ষায়।
ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। চলতি অর্থবর্ষের শেষে জিডিপি (মূল্যবৃদ্ধি ধরে) ৩.৬ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। আজ অমিতাভ বলেন, ‘‘২০২৭ সালের মধ্যে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে। জাপান, ব্রিটেন এবং জার্মানি এখন মন্দার মধ্যে রয়েছে। ফলে আমাদের আরও দ্রুত এগোতে পারা উচিত।... ২০৪৭ সালের মধ্যে ৩৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি হতে গেলে আরও দ্রুত এগোতে হবে।’’
আর এর জন্য সস্তায় গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদন ও রফতানিতে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে, চিনের উদাহরণ দিয়ে পানাগড়িয়া জানান, সারা বিশ্বে রফতানি বাজারের বহর ৩২ লক্ষ কোটি ডলার। তার বড় অংশ হাতে রেখেই তিন-চার দশক ধরে ধারাবাহিক ভাবে ১০% হারে এগোতে পেরেছে তারা। ফলে রফতানি বাড়াতে হবে।