—ফাইল চিত্র।
লকডাউনের পরে ধীরে ধীরে বাড়ছে আর্থিক কর্মকাণ্ড। অথচ চাহিদা না-বাড়লে অর্থনীতিতে গতি ফেরা মুশকিল। তাই আগে তা বাড়ানোয় জোর দেওয়া উচিত বলে মত নীতি আয়োগের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট অরবিন্দ পানাগড়িয়ার। শনিবার সিআইআইয়ের ওয়েবিনারে তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতি ফের চালু হচ্ছে। এখনও যদি মজুত বেড়ে চলে, তা হলে বুঝতে হবে চাহিদায় ঘাটতি রয়েছে। এই অবস্থায় তা বাড়াতে উৎসাহ প্রকল্প চালু করা উচিত।’’
অর্থনীতিকে সচল করতে ২১ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ এনেছে কেন্দ্র। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের
প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন-সহ অনেকেই তখন বলেছিলেন, ভারতের মূল সমস্যা চাহিদার অভাব। যা করোনার আগেই শুরু হয়েছে। তাই অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে জরুরি তাতে উৎসাহ দেওয়া। এ জন্য গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া যেতে পারে।
চাহিদা বাড়ানো জরুরি বলে স্বীকার করেছেন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যনও। পানাগড়িয়ার মতে, বড় প্যাকেজ দিলেই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিশ্চিত নয়। আমেরিকা ও ইউরোপে তা হয়নি। তাই চাহিদা ফেরানো আগে দরকার। সঙ্গে বাণিজ্যে দেওয়ালের বিরোধিতা করে বলেন, তিন বছর আগে তৈরি নীতি উল্টো পথে ঘোরানো নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন।
অন্য দিকে, এ দিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, এনবিএফসি, গৃহ ও ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থাগুলি পরিকল্পনা অনুযায়ী নগদ পাচ্ছে। তাদের আর্থিক সহায়তা দিতে বিশেষ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত ১৫টি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। মঞ্জুর হয়েছে ৬৩৯৯ কোটি টাকা। ১১,০৩৭ কোটির আরও ৩৭টি আর্জি বিবেচনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সংস্থাগুলিকে নগদ জোগাতে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পেই ৩০,০০০ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছিল।