—প্রতীকী চিত্র।
কোভিড পেরিয়ে আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোপুরি খুলে গিয়েছে। বাড়ি থেকে কাজ বন্ধ করে অফিসের দরজা খুলছে অনেক সংস্থাও। কিন্তু তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে, সব কিছু যখন ছন্দে ফিরছে, তখন বদলে গিয়েছে বহু মহিলার জীবন। অতিমারির আগে ঘরে-বাইরে সমান সক্রিয় অনেকেরই আর কর্মজীবনে ফেরা হচ্ছে না। কেউ কেউ কাজ করছেন বাড়ি থেকে করা যাচ্ছে বলেই। কাজ খোঁজার ভিড়েও সংখ্যা কমেছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে স্টেট ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন অরুন্ধতি ভট্টাচার্যের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে সাধারণ নিয়মে মহিলাদের কাজে ফেরানোর চেষ্টা করলে, তা সব ক্ষেত্রে সফল না-ও হতে পারে। বরং বিষয়টিতে আলাদা ভাবে আরও মনযোগ দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
অরুন্ধতীর মতে, কোনও মহিলা কাজের জগতে কেন ফিরতে পারছেন না, সেটা সহমর্মিতার সঙ্গে বোঝা দরকার সংস্থাকে। এর পিছনে যথেষ্ট কারণ থাকলে, সমস্যার সমাধানে কর্মস্থলকে প্রয়োজনে কিছুটা নমনীয় হতে হবে। যাতে মহিলা কর্মীর পক্ষে কাজ শুরু করা সুবিধাজনক হয়।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, প্রাক্তন এসবিআই প্রধান এমন সময় তাঁর মতামত জানালেন, যখন বাড়ি থেকে কাজ বন্ধ হলে কিছু ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীদের সংখ্যা আরও কমবে বলে আশঙ্কা শিল্পের। সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস-ও জানিয়েছে, তাঁদের মহিলা কর্মীদের কাজ ছাড়ার হার সম্প্রতি পুরুষদের ছাড়িয়ে গিয়েছে। এমন আগে হত না। এর পিছনে বাড়ি থেকে কাজের সুবিধা বন্ধ হওয়ার হাত আছে বলে ইঙ্গিত তাদের। মহিলা কর্মীদের জন্য তাঁর পরামর্শ, ‘‘প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে হাল ছাড়বেন না।’’
স্টেট ব্যাঙ্কের ২০০ বছরের ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধানের দায়িত্ব সামলানো অরুন্ধতি এখন ক্লাউড ভিত্তিক পরিষেবা প্রদানকারী সেলসফোর্স ইন্ডিয়ার প্রধান। নিজের বক্তব্যে কর্পোরেট সংস্থার পর্ষদ কক্ষে মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধির পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। দেশের শিল্পমহলকে তাঁর বার্তা, মহিলাদের পর্ষদকক্ষে যোগ দিতে দেওয়ার বিষয়টি সকলকে খোলা মনে বিচার করতে হবে। যাঁরা ভাল কাজ করেন, দক্ষ পরিকল্পনা করেন এবং সুখ্যাতি আছে, তাঁরা এই সুযোগ পেলে সকলেই অনুভব করবেন সেখানে মূল্যবোধ বেড়ে গিয়েছে। বৈচিত্র্য এসেছে। তবে অরুন্ধতীর মতে, এই সুযোগ দেওয়ার জন্য চাই মানসিকতার বদল, নির্দিষ্ট পদক্ষেপের সংকল্প এবং স্থির লক্ষ্য।
সংবাদ সংস্থা