নিউ ইয়র্কে জেটলি। শুক্রবার। ছবি: রয়টার্স।
দিল্লির মসনদে এক বছর কাটালেও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নীতি পঙ্গুত্ব কিংবা সংস্কারের পথে হাঁটার সাহসের অভাবের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিদেশি লগ্নিকারীদের আস্থা ফিরে পেতে ভারত কতটা আগ্রহী প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। এই অবস্থায় লগ্নিকারীদের ভরসা দিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চকেই বেছে নিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
শুক্রবার এখানে এক সভায় তাঁর দাবি, ৭-৭.৫% আর্থিক বৃদ্ধির সীমা ছাড়ানোর ক্ষমতা রাখে ভারত। সেই লক্ষ্য অর্জনে সংস্কারের পরিকল্পনা থেকে পিছিয়ে নেই তাঁদের সরকার। প্রাক্তন মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা একটি লগ্নি সংস্থার কর্তা টিমোথি গিথনারের সঙ্গে বৈঠকে জেটলি বলেন, ‘‘কেন্দ্র, জনতা বা শিল্পমহল কেউই ৭-৭.৫% আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে উৎসাহিত নয়। কারণ সকলেই, এমন কী আমি ও প্রধানমন্ত্রীও বুঝতে পারছেন, বাস্তবে সম্ভাবনা তার চেয়েও বেশি।’’
তাঁর দাবি, সরকার এই এক বছরে অনেকটা পথ পেরিয়েছে। সে জন্যই আগামী দু’তিন বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, ‘‘কারণ একের পর এক সংস্কার পরিকল্পনা এই সময় বাস্তবায়িত হবে। সমস্যাগুলিকে চিহ্নিত করেছি। একে একে সেগুলির সুরাহা করে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।’’
বিচার ব্যবস্থার অতিরিক্ত হস্তক্ষেপও লগ্নি টানার পথে বাধা, মত জেটলির। তাঁর দাবি, এ জন্য আইন সংশোধনের কথাও ভাবছে কেন্দ্র। তবে, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়ার দায় পূর্বতন সরকারের উপরই চাপিয়েছেন তিনি।