ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ। —ফাইল চিত্র।
চটকলগুলি যাতে পর্যাপ্ত বরাত পায়, সেই আর্জি নিয়ে ফের দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের সঙ্গে দেখা করলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ। সেই সঙ্গে ব্যারাকপুরের চটকল শিল্পাঞ্চল রাজ্য সরকারের নীতির জন্য বেহাল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ পার্থ ভৌমিক পাল্টা কেন্দ্রকেই দুষেছেন।
এক্স হ্যান্ড্লে গিরিরাজের সঙ্গে ছবি দিয়ে মঙ্গলবার অর্জুন বলেছেন, ‘ব্যারাকপুরের অর্থনীতি মূলত চটকলের উপরে নির্ভশীল। এখানকার ছোট চটকলগুলি ঠিক ভাবে চটের ব্যাগের বরাত পাচ্ছে না। তা যাতে পায়, সেই জন্য খাদ্যশস্যের প্যাকেজিং-এ চটের ব্যাগ ব্যবহার ১০০% নিশ্চিত করতে মন্ত্রীকে অনুরোধ করলাম।’ এর পরেই ধুঁকতে থাকা চটশিল্পের জন্য রাজ্য সরকারের ‘ব্যবসায়িক অভিসন্ধির’ অভিযোগ করে অর্জুনের তোপ, “গঙ্গার পার বরাবর চটকলগুলিকে কেন্দ্র করে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের যে জনজীবন গড়ে উঠেছিল, তাকে ধ্বংস স্তূপে পরিণত করতে চাইছে রাজ্য। বড় ব্যবসায়ীদের লাভবান করতে ছোট মিলগুলিকে ধ্বংস করছে। কারখানার জায়গায় ‘প্রোমোটিং’ ও গুদাম তৈরি হয়েছে।” বস্ত্রমন্ত্রী তাঁকে প্রয়োজনীয় আশ্বাস দিয়েছেন বলে অর্জুনের দাবি। এর আগেও কয়েক বার অর্জুন চটকল ও চটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের স্বার্থে দিল্লি গিয়ে সওয়াল করেছেন।
তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি বার বার অভিযোগ করেছে, কেন্দ্র পাটের উপরে ভর্তুকি কমিয়ে গুজরাতের ‘সিন্থেটিক লবির’ পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। এই সূত্রেই ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থের তোপ, “পরিকল্পনামাফিক শেষ করে দিতেই কেন্দ্র চটশিল্পকে নিজেদের হাতে রেখেছে। তারা প্লাস্টিকের বস্তার বরাত দিচ্ছে। অথচ, মোদী ও তাঁর অনুগামীরা চটশিল্প-দরদি সাজছেন!” প্রসঙ্গত, গঙ্গার দু’পারে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলির চটশিল্প দীর্ঘ দিন ধরেই ধুঁকছে। লোকসভা ভোটের প্রচারে এসে এই শিল্পের দুর্গতির জন্য রাজ্যকেই দায়ী করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাল্টা কেন্দ্রকে দুষে চটশিল্পের পুনরুজ্জীবনে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।