—প্রতীকী চিত্র।
জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর নাকি বেসরকারি উপদেষ্টা সংস্থা— কর্মসংস্থান ও বেকারত্বের হার নির্ধারণে কার পদ্ধতি ঠিক, এই নিয়ে বিতর্ক চড়ছে। তবে এরই মধ্যে ‘নওকরি ডট কম’-এর এক সমীক্ষা রিপোর্টে (নওকরি জবস্পিকস ইন্ডেক্স) দাবি, গত অক্টোবর-নভেম্বরে দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলির উঁচু পদে (হোয়াইট কলার) নিয়োগের প্রবণতা ছিল এক বছর আগের তুলনায় নিম্নমুখী। মূলত তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিকম, শিক্ষার মতো ক্ষেত্রগুলিতে নিয়োগ কমাই এর কারণ। তবে মেশিন লার্নিং, ডেটা সায়েন্সের মতো কৃত্রিম মেধা নির্ভর ক্ষেত্রে নিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মেট্রো শহর বাদে অন্যান্য শহরে নিয়োগ ঊর্ধ্বমুখী।
কর্পোরেট সংস্থাগুলি তাদের পোর্টালে কী রকম নতুন নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে এবং প্রার্থীরা কতটা তা খুঁজছেন (সার্চ), এই সমস্ত তথ্যের উপরে ভিত্তি করে রিপোর্টটি তৈরি করেছে নওকরি ডট কম। সেখানে দাবি করা হয়েছে, টেলিকম, শিক্ষা, খুচরো ব্যবসায় উঁচু পদে নিয়োগ এক বছর আগের তুলনায় যথাক্রমে ১৮%, ১৭% এবং ১১% কমেছে। আর তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নিয়োগ কমেছে সবচেয়ে বেশি (২২%)। উল্টো দিকে তেল ও গ্যাস (৯%), ওষুধ (৬%) এবং বিমা (৫%) ক্ষেত্রে তা বেড়েছে।
পোর্টালটির চিফ বিজ়নেস অফিসার পবন গয়ালের কথায়, ‘‘উৎসবের মরসুমের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে নিয়োগের ছবি আশাপ্রদ। আবার তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রেও অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে নিয়োগ হয়েছে ১% বেশি। ফলে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে।’’ তবে সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, সাম্প্রতিক অতীতে বহু অর্থনীতিবিদই সাধারণ কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ভাল বেতনের কাজের সংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছেন। কারণ, সেই রোজগার বিক্রিবাটা বাড়িয়ে বাড়ি-গাড়ির বাজার, বৈদ্যুতিন পণ্য-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। ফলে এই ধরনের পদে নিয়োগ কমার প্রবণতা উদ্বেগের।