কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।—ফাইল চিত্র।
চাহিদা ও বিক্রিবাটায় ভাটার টানে চলতি অর্থবর্ষে প্রত্যাশিত গতি পায়নি জিএসটি সংগ্রহ। ফলে একটা সময় পর্যন্ত ভাল হচ্ছিল না সেস সংগ্রহও। যার জন্য বারবার অনিয়মিত হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে দেওয়া রাজস্ব ক্ষতিপূরণ। মঙ্গলবার রাজ্যসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে পরিসংখ্যান দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের দাবি, অক্টোবর থেকে সেস আদায় ক্রমাগত বাড়ছে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, এ দিন আসলে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে আরও এক বার আশ্বাস দেওয়ার চেষ্টা করেছে মোদী সরকার। এর আগেও একাধিক বার আশ্বাস দিয়েছিল তারা।
জিএসটি ক্ষতিপূরণ বিধি অনুযায়ী, প্রতি দু’মাসে রাজ্যগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা কেন্দ্রের। কিন্তু অগস্ট-সেপ্টেম্বরের পরে আর কোনও কিস্তি দিতে পারেনি তারা। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিরোধী শাসিত পাঁচটি রাজ্য ক্ষোভপ্রকাশ করে। প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানায় তারা। তার পরে ক্ষতিপূরণ নিয়ে তাদের আশ্বাস দেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
এ দিন অনুরাগ জানান, আগের দু’টি অর্থবর্ষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশিই সেস সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। এ বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরে ৭০,৫৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ হলেও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ৮১,০৪৩ কোটি। তার পরে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত তা ক্রমাগত বেড়েছে। চলতি অর্থবর্ষে সেস সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছে ১.০৯ লক্ষ কোটি টাকা।