দাম বাড়ল সিএনজির। প্রতীকী চিত্র।
বিশ্ব বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতেও প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তার জেরে সেই গ্যাস থেকে তৈরি সিএনজির দাম বাড়িয়েছে বিভিন্ন বণ্টনকারী সংস্থা। এ রাজ্যে ওই পণ্য বিক্রি করা তিনটি সংস্থার অন্যতম ইন্ডিয়ান অয়েল-আদানি গ্যাস (আইওএজি) বর্ধমানে এক দফা দাম বাড়ায়। এ বারে সেই পথে হাঁটল কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় এই ব্যবসায় যুক্ত বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানিও (বিজিসি)। তবে হুগলি ও নদিয়ায় হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসি) এখনও দাম বাড়ায়নি।
বিজিসির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, শুক্রবার থেকে তাদের এলাকায় প্রতি কেজি সিএনজি ২.৫৮ টাকা বেড়ে ৯১.৮৩ টাকা হয়েছে। এর আগে দাম ছিল ৮৯.২৫ টাকা।
বর্ধমানে আইওএজির পাম্পগুলিতে প্রতি কেজি সিএনজির দাম গত মাসে ৯১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৪ টাকা। নদিয়া ও হুগলিতে এইচপিসির পাম্পে সেই জ্বালানির দাম মাসকয়েক আগে বেড়ে হয়েছিল ৯৫ টাকা। সেই দাম অপরিবর্তিত আছে।
ভারতে গ্যাস ক্ষেত্রগুলি থেকে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বছরে দু’বার (এপ্রিল ও অক্টোবর) সংশোধন করে কেন্দ্র। গত এক বছরে তা অনেকটা বেড়েছে। ফলে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে তৈরি রান্না, শিল্পোৎপাদনের জ্বালানি (পিএনজি) এবং পরিবহণ জ্বালানির (সিএনজি) দামও বেড়েছে ৭০ শতাংশের বেশি।
রান্নার গ্যাস থেকে গাড়ির তেল— জ্বালানির চড়া দর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে। বিশেষ করে আমজনতা, পরিবহণ ব্যবসায়ীদের খরচ বেড়েছে। আবার পরিবহণ খরচ বাড়ায় তা পরোক্ষে ইন্ধন জোগাচ্ছে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতেও। এত দিন প্রাকৃতিক গ্যাস প্রচলিত জ্বালানির চেয়ে কিছুটা সস্তা ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেই ফারাক অনেকটা কমেছে। দাম বাড়ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাংশে বিক্রি হওয়া সিএনজির। ফলে সিএনজি গাড়ির চাহিদা নিয়েও তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা।