Bank

আমেরিকায় বন্ধ হল আরও একটি ব্যাঙ্ক

গত বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে আমেরিকায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক ও সিগ্‌নেচার ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বিশ্ব জুড়ে। ফিরে এসেছিল ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার স্মৃতি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:২৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আমেরিকায় ঝাঁপ বন্ধ হল আরও এক ব্যাঙ্কের। শুক্রবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে ফিলাডেলফিয়ার রিপাবলিক ফার্স্ট ব্যাঙ্কটি গুটিয়ে নেওয়ার কথা জানাল সেখানকার নিয়ন্ত্রক। যার ব্যবসা ছড়িয়ে পেনসেলভেনিয়া, নিউ জার্সি এবং নিউ ইয়র্কে। এ বছর এই প্রথম কোনও ব্যাঙ্ক ব্যবসা গোটাল। ফেডারাল ডিপোজ়িট ইনশিয়োরেন্স কর্প জানিয়েছে, বন্ধের সময়ে ব্যাঙ্কটির সম্পদ ছিল প্রায় ৬০০ কোটি ডলার ও আমানত ৪০০ কোটি ডলার। বন্ধ ব্যাঙ্কটির সমস্ত আমানত এবং প্রায় সব সম্পদ কিনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে পেনসেলভেনিয়ারই ফুলটন ব্যাঙ্ক। শনিবার রিপাবলিকের ৩২টি শাখা ফুলটন ব্যাঙ্কের শাখা হিসেবে কাজ চালু করবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

গত বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে আমেরিকায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক ও সিগ্‌নেচার ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বিশ্ব জুড়ে। ফিরে এসেছিল ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার স্মৃতি। এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতির উপরে পড়বে কি না, তা নিয়ে ছড়িয়েছিল উদ্বেগ। চিন্তা বাড়িয়ে মে মাসে জেপি মর্গ্যান চেজ়ের কাছে বিক্রি হয় ধুঁকতে থাকা ফার্স্ট রিপাবলিক ব্যাঙ্ক। নভেম্বরে আইওয়ার স্যাক সিটির সিটিজেন্স ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়। এ বার পাট গোটাল রিপাবলিক ফার্স্ট। এর ফলে ফেডারাল ডিপোজ়িট ইনশিয়োরেন্স কর্পের প্রায় ৬৬.৭ কোটি ডলার বিমার অর্থ মেটাতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ-স্বাভাবিক অর্থনীতিতেও সাধারণত বছরে চার-পাঁচটি ব্যাঙ্ক ব্যবসা বন্ধ করে। কিন্তু করোনার পরে পরিস্থিতি পাল্টেছে। গত ক’বছরে হঠাৎ করে বিশ্ব জুড়ে যে হারে সুদ বেড়েছে, তাতে বহু ব্যাঙ্কের হাতে থাকা ঋণপত্রের দর কমেছে। ফলে তা বেচতে গিয়ে লোকসানের মুখে পড়ছে তারা। তার উপরে অতিমারির পরে বাড়ি থেকে কাজের চল বাড়ায় কমেছে বাণিজ্যিক আবাসনের চাহিদা। বাড়ছে ঋণখেলাপি। মার্চে ধুঁকতে থাকা নিউ ইয়র্কের কমিউনিটি ব্যাঙ্কর্প-এ ১০০ কোটি ডলার ঢালতে হয়েছে। গত বছর সুইৎজ়ারল্যান্ডে বিক্রি করতে হয়েছে ক্রেডিট সুইস-কে। এই অবস্থায় আগে সমস্যা সমাধান করা জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বলছেন, না হলে বহু ছোট ব্যাঙ্ক সঙ্কটে পড়তে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement