ফাইল চিত্র।
আরও একটি আন্তর্জাতিক উড়ান সংস্থা কলকাতা থেকে পরিষেবা গুটিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে দিল।
কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, সম্প্রতি লিখিত ভাবে হংকংয়ের ‘ক্যাথে-ড্রাগন এয়ার’ এই তথ্য জানিয়েছে। এর জেরে আগামী দিনে কলকাতা থেকে হংকংয়ের সরাসরি উড়ান থাকবে না। এর আগে লকডাউনের মধ্যেই মালয়েশিয়ার উড়ান সংস্থা ‘ম্যালিন্ডো’ কলকাতা থেকে পরিষেবা তুলে নেওয়ার কথা জানায়। কলকাতা বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য শুক্রবার বলেন, ‘‘ক্যাথে-ড্রাগন শুধু পরিষেবা তুলে নেওয়ার কথা বলেছে। ক্যাথের দাবি, তারা পরে পরিস্থিতি বুঝে সরাসরি উড়ান চালাতে পারে।’’
এমনিতেই এ শহর থেকে আন্তর্জাতিক উড়ানের সংখ্যা কম। কেন্দ্রের বন্দে ভারত প্রকল্প এবং বাবল-উড়ান চুক্তির আওতায় কিছু দেশ থেকে হাতে গোনা কিছু উড়ান আসছে। লকডাউনে কমেছে অভ্যন্তরীণ উড়ানও। রাজ্য সরকারের নির্দেশে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই-সহ দেশের ছ’টি শহর থেকে সপ্তাহে চার দিন কলকাতার সরাসরি উড়ানও এখন বন্ধ।
‘ট্র্যাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া’র পূর্ব ভারতের চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবি জানিয়েছেন, ক্যাথে মূলত দূরপাল্লার উড়ান চালায়। ফলে, কলকাতা থেকে পরবর্তীকালে তাদের সরাসরি উড়ান চালানোর প্রস্তাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি। অনিলের কথায়, ‘‘হংকং নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে সমস্যা হচ্ছিল। কলকাতার ঠিকানার পাসপোর্ট থাকলে হংকংয়ের ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছিল। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছিল, এই শহর থেকে বহু মানুষ ব্যবসার নাম করে হংকংয়ে গিয়ে পাকাপাকি ভাবে বসবাস করতে শুরু করে দিচ্ছিলেন।’’
কলকাতা থেকে এক সময়ে ইন্ডিগো-ও সরাসরি হংকংয়ের উড়ান চালু করেছিল। কিন্তু, বছর কয়েক আগে সেখানে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার পরে সেই উড়ান তুলে নেওয়া হয়। ট্র্যাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন-এর সম্পাদক অঞ্জনি ধানুকা বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে প্রচুর ব্যবসায়ী নিয়মিত হংকং যাতায়াত করতেন। ম্যাকাও ও চিন যাওয়ারও একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট ছিল হংকং। সস্তায় আমেরিকা যাওয়ার জন্যও অনেকে হংকং ঘুরে যাতায়াত করছিলেন।’’