অনিল অম্বানী। —ফাইল চিত্র
চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন্স (আর-কম) ৩০,০০০ কোটি টাকারও বেশি লোকসানের কথা জানিয়েছিল শুক্রবার। দেশের কর্পোরেট জগতের ইতিহাসে এই ক্ষতি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার পরেই সংস্থা ছাড়লেন চেয়ারম্যান অনিল অম্বানী। পদত্যাগ করেছেন আরও চার কর্তা।
আর-কমের বিরুদ্ধে এরিকসনের আবেদনের ভিত্তিতে এখন দেউলিয়া আইনে মামলা চলছে। সূত্রের খবর, সংস্থার বন্ধক দিয়ে নেওয়া ধারের অঙ্ক মোট ৩৩,০০০ কোটি টাকা। অগস্টে ঋণদাতারা দাবি জানিয়েছে ৪৯,০০০ কোটির। এনসিএলটি আপাতত আর-কমের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ভার ইন্সলভেন্সি রেজ়লিউশন প্রফেশনালের হাতে তুলে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই সপ্তাহেই অনিল-সহ চার জন ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আর-কম।
পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা হওয়ার পরে ২০০৫ সালে আর-কমের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ধীরুভাই অম্বানীর ছোট ছেলে অনিল। এক সময়ে বিশ্বের প্রথম ১০ জন ধনীর মধ্যে জায়গা করে নেন তিনি। কিন্তু এখন তাঁর সেই সংস্থা সম্পত্তি বিক্রি করতেও ধাক্কা খাচ্ছে বলে খবর।
এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম ফি বাবদ বকেয়া মেটাতে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে প্রায় ২৮,০০০ কোটি সংস্থান করেছে আর-কম। তার জেরে এ বার লোকসান হয়েছে ৩০,১৪২ কোটি। ভোডাফোন আইডিয়ার পরেই যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অথচ গত বছর ওই সময়ে লাভ হয়েছিল ১১৪১ কোটি।