অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বার্তা, জিনিসের দাম কমাতে সব ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। প্রতীকী ছবি।
দেশের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা অর্ধেক মানুষের পকেটে মূল্যবৃদ্ধির চাপ পড়েছে বেশি। সোমবার এমনটাই জানাল মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস-এর সমীক্ষা। সেখানে দাবি, গরিব মানুষের খরচ বেড়েছে মূলত খাদ্যপণ্যের আগুন দামে। আয়ের বেশিরভাগটা তাতেই চলে গিয়েছে।
এ দিনই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বার্তা, জিনিসের দাম কমাতে সব ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। ভবিষ্যতেও নেবে। সরকারি মহলের মতে, নানা পদক্ষেপ করে মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেই জানুয়ারিতে পাইকারি বাজারে তা ৪.৭৩ শতাংশে নেমেছে। খুচরো বাজারে ফের বাড়লেও, ৬.৫২%। তবে ইন্ডিয়া রেটিংসের দাবি, গত এপ্রিল-ডিসেম্বরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধির কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যানের থেকে গরিব মানুষকে সইতে হয়েছে ৪০ বেসিস পয়েন্ট বেশি ধাক্কা। তাঁদের ক্ষেত্রে সেই হার ছিল ৭.২%। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, সরকারি পদক্ষেপ দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়াদের আদৌ কতটা সুরাহা দিতে পারছে তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিল এই সমীক্ষা।
কোভিডে কাজ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। আয় কমেছিল অনেকের।পরে তার উপর খাঁড়ার ঘা পড়েছে পণ্যের চড়া দামে। যা মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তদের আরও কোণঠাসা করেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের অনেকের। তাই তাঁরা জ্বালানির দাম কমানোর দাবি করেছেন। বলেছেন, পরিবহণ খরচকমলে সস্তা হতে পারে খাদ্যপণ্যও। ইন্ডিয়া রেটিংসের রিপোর্টে বিশ্লেষক পরশ যশরাই-ও বলেন, খাদ্যপণ্য, জ্বালানির খরচই দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতাকে তলানিতে নামিয়েছে।
সংস্থাটির হিসাব, শহরের সব থেকে উপরের স্তরে থাকা ৫% মানুষের ক্ষেত্রে এপ্রিল-ডিসেম্বরে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৬.৭%। সব চেয়ে নীচের স্তরের ৫% ভুগেছে ৭.৪% হারে। গ্রামে তা যথাক্রমে ৬.৬% ও ৭.৩%। এই ৭.৩%মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার হওয়ারা ৬০.৬%দাম বৃদ্ধিই সয়েছেন খাদ্য, জ্বালানিতে। শহরে তা ৫৯.২%। অর্থাৎ, আয় বেশি হলে এই দুই খাতে খরচ কমেছে। তাতে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ লেগেছে কিছুটা কম।