প্রতীকী চিত্র।
ভারতকে উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার বার্তা দিয়ে বিভিন্ন পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পথে হাঁটছে মোদী সরকার। যাতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহ পান ও বিদেশি পণ্য দেশীয় বাজারে ভাগ না-বসায়। কিন্তু স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্ট বলছে, এতে লক্ষ্য পূরণ তো হবেই না, উল্টে জন্ম নিতে পারে চরম অদক্ষতা। ধাক্কা খেতে পারে রফতানিও। কারণ, এতে প্রতিযোগিতায় এগোনোর ক্ষমতা তৈরিই হবে না। রিপোর্টে পরামর্শ, বরং শুল্ক কমুক। তৈরি হোক উৎপাদনের পরিকাঠামো। বাড়ুক দক্ষতা। উন্নত হোক পণ্যের মান। তবেই উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে সারা বিশ্বের সম্ভ্রম আদায় করে নিতে পারবে ভারত। যেমন পেরেছে পড়শি দেশ চিন।
রিপোর্ট বলছে, সেই ২০০০ সাল থেকে প্রতিটি সরকারই উৎপাদন শিল্পে জোর দেওয়ার কথা বলেছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের জিডিপির কমপক্ষে ২৫% এই শিল্প থেকে উসুলের বার্তা দিয়েছে। বাস্তবে ২০০৪-২০১৭ সালে বিশ্বে উৎপাদন ক্ষেত্রে নিজেদের দখল ১.৫% থেকে বাড়িয়ে মাত্র ৩ শতাংশে নিতে পেরেছে ভারত। অথচ আমদানি শুল্ক ক্রমশ চড়েছে।
গবেষণা শাখাটির মতে, শুল্ক এক শতাংশও বাড়লে আমদানি কমে ২০০ কোটি ডলারের। যা প্রভাব ফেলে দেশীয় উৎপাদনে। কারণ, আমদানি পণ্যের বড় অংশ কাঁচামাল। তাই তার অভাবে ধাক্কা খায় পণ্য উৎপাদন। ফলে আত্মনির্ভর হওয়ার পথ আমদানি শুল্ক বাড়ানো নয়। বরং উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। সহজ করতে হবে সংস্থাগুলির ব্যবসার পথও।