Edible Oil

করোনা-কালেই বন্ধ কারখানা, কর্মহীন ৯০ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ০৩:৪৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা সঙ্কটের মধ্যে যখন রুজি-রোজগার নিয়ে চিন্তা বাড়ছে, তখনই তালা ঝুলল হলদিয়ার এক ভোজ্যতেল কারখানায়। কাজ হারালেন ৯০ জন স্থায়ী কর্মী।

Advertisement

২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছিলেন জেভিএল অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ওই কারখানাটির। শনিবার কারখানার গেটে নোটিস দেখতে পান কর্মীরা। সেখানে জানানো হয়েছে, আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে সংস্থার আর কোনও সম্পর্ক থাকবে না। কারও কাছে সংস্থার কোনও জিনিস থাকলে ৩০ দিনের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। সংস্থার তরফে আধিকারিক আশিস মিশ্র বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মতোই সব কর্মী-আধিকারিক কর্মহীন হয়ে পড়লেন।’’

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, মালিকপক্ষ বিপুল ঋণ নিয়ে যথাসময়ে শোধ দেননি। যার জেরে ২০১৮ সালের অগস্টে সংস্থাটি প্রথমে দেউলিয়া আইনের আওতায় জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে (এনসিএলটি) যায়। সেখানে তাদের দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়। পরে তার রাশ হাতে নেয় সংশ্লিষ্ট ঋণদাতা ব্যাঙ্ক। শেষ পর্যন্ত ১৯ অগস্ট কারখানার সম্পত্তি বিক্রি করার জন্য তৃতীয় পক্ষকে নিয়োগ করে আদালত। বিক্রির টাকা থেকেই পাওনাদারের টাকা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তারই সূত্র ধরে রবিবার তার গেটে নোটিস ঝুলল।

Advertisement

করোনা-কালে কারখানা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা কাজ হারানো কর্মীরা। তাঁদেরই এক জনের কথায়, ‘‘লকডাউনের কারণে এমনিতেই হাতে টাকা নেই। এ বার কারখানাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংসার কী করে চলবে বুঝতে পারছি না।’’ আইএনটিটিইউসি-র পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কার্যকরী সভাপতি শিবনাথ সরকারের দাবি, ‘‘মালিকপক্ষ যথা সময়ে ব্যাঙ্ক ঋণ শোধ করতে পারেনি বলেই কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেল। ভুগতে হচ্ছে কর্মীদের। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও জেলা আইনটিটিইউসি-র পক্ষ থেকে ওই কারখানার পুনরুজ্জীবনের চেষ্টা করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement