ফাইল চিত্র।
কৃষি ক্ষেত্রের উন্নয়নে আরও বেশি করে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ দেওয়া-সহ এক গুচ্ছ পদক্ষেপ করতে কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ককে (এআরডিবি) পরামর্শ দিলেন স্বরাষ্ট্র ও সমবায়মন্ত্রী অমিত শাহ। সেচ ও গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যই তা জরুরি বলে জানান তিনি। শনিবার পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, গুজরাত এবং কর্নাটকের চারটি রাজ্য সমবায় কৃষি এবং গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্ককে ভাল কাজের জন্য স্বীকৃতি দেন মন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, কৃষি ক্ষেত্রের উন্নতি ছাড়া চাষিদের আয় বাড়ানো সম্ভব নয়। আর সে জন্য চাই উন্নত সেচ ব্যবস্থা। সেই লক্ষ্যে সমবায় নিয়ে একটি তথ্য ভান্ডার তৈরি করছে সরকার। পাশাপাশি, এই সব কাজের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে কৃষিঋণ বাড়ানো প্রয়োজন। তাই ব্যাঙ্কগুলিকে সে নিয়ে আগ্রহ দেখাতে হবে।
ভারতে ৪৯.৪ কোটি একর চাষযোগ্য জমি রয়েছে। যা আমেরিকার পর দ্বিতীয়। কিন্তু কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ওই জমির ৫০ শতাংশই চাষের জন্য বর্ষার উপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সেগুলির মান এবং পরিকাঠামোর উন্নতি করা সম্ভব হয়নি। শাহের কথায়, গত ৯০ বছর ধরে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি কৃষি ক্ষেত্রে ঋণ দিয়ে চলেছে ঠিকই, কিন্তু সর্বত্র তারা ঠিক ভাবে কাজ করছে না। কোনও তথ্য ভান্ডার না থাকায় তাদের কাজের খামতি নিয়ে পরিষ্কার চিত্র পাওয়া কঠিন। এই সব ব্যাঙ্কগুলির সেচ-সহ কৃষির বিভিন্ন পরিকাঠামো, বাগিচা, মুরগি পালন, মাছ চাষের মতো ক্ষেত্রে জোর দেওয়া জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। জোর দেন তথ্য ভান্ডারের উপরেও।
প্রাথমিক সমবায় সমিতিগুলি (পিএসি) পরিচালনায় ডিজিটাল ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি তাদের মাধ্যমে সরকারের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থার কথাও তুলে ধরেন শাহ। বলেন সমবায় সমিতিগুলির আইন সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবের মতো সংস্কারের কথা। যা ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে রাজ্যগুলির কাছে।