অমিত মিত্র —ফাইল চিত্র
করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসার খরচ কমাতে প্রতিষেধক, ওষুধ-সহ সংশ্লিষ্ট একাধিক পণ্যে জিএসটি-র হার শূন্য করার প্রস্তাব দিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে দাবি করেছিলেন, করোনা চিকিৎসার ওষুধ, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, অক্সিজেনের উপর থেকে জিএসটি এবং আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করা হোক। মোদী উত্তর না-দিলেও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি কার্যত খারিজ করে দিয়েছিলেন নির্মলা। তার পরেই অমিতবাবু নির্মলাকে চিঠি লিখে অবিলম্বে জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকার কথা বলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ছ’মাসে একবারও পরিষদের বৈঠক না-ডেকে কেন্দ্র সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এই অবস্থায় প্রায় আট মাস পরে ২৮ মে অনলাইনে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, তার দিন তিনেক আগে ফের এই চিঠি বুঝিয়ে দিল রাজ্য দাবিতে অনড়।
মঙ্গলবার তাঁর চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির কথাও নির্মলাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অমিতবাবু। লিখেছেন, ‘‘অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশ বিপর্যস্ত। কোভিড আক্রান্ত দেশগুলির মধ্যে ভারত প্রথম সারিতে। এখনও দিনে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। হাজার হাজার জন মারা যাচ্ছেন। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সকলকেই স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি কার্যকরী পদক্ষেপ করতে হবে। বাড়তি কিছু ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’’ তাঁর মতে, জিএসটি পরিষদই এই সঙ্কটে মানুষকে কিছুটা সুরাহা দিতে পারে। তাই করোনার ওষুধ, প্রতিষেধক, চিকিৎসার সরঞ্জাম-যন্ত্র সমেত সংশ্লিষ্ট সব পণ্যে জিএসটি ফেরানো হোক। অমিতবাবু লিখেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন পরিষদ বিচক্ষণতার সঙ্গে সব দিক বিবেচনা করে প্রস্তাবে রাজি হবে।
করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত সব কিছুতে জিএসটি ও আমদানি শুল্ক পুরো ফেরানোর দাবি জানিয়ে নির্মলাকে চিঠি দিয়েছেন পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদলও। অভিযোগ, চিকিৎসার জন্য জীবনদায়ী ওষুধে জিএসটি ১৮% ও মূল আমদানি শুল্ক ২০%। তবে পরিষদের ডাকা বৈঠকের আলোচ্যসূচিকে ‘সারবত্তাহীন’ বলে তোপ দেগেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উল্লেখ নেই যা বহু দিন তোলা হচ্ছে।’’