—ফাইল চিত্র
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আটকাতে রাজ্যে রাজ্যে স্থানীয় ভাবে লকডাউন শুরু হলেও তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে কাজের বাজারে। বেকারত্বের হার ঢুকেছে দুই অঙ্কের ঘরে। উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৬ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে সারা দেশে বেকারত্বের হার ছিল ১৪.৪৫%। ২৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে তা আরও মাথা তুলেছে। হয়েছে ১৪.৭৩%। এই সময়ের মধ্যে গ্রামীণ বেকারত্বের হার সামান্য কমলেও শহরে সেই হার বিপুল ভাবে বেড়েছে। কাজের এই পরিস্থিতির জন্য এ বার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে তোপ দাগলেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। জানালেন, কাজের যখন এই হাল তখনও কিন্তু বড় সংস্থাগুলির মুনাফা বিপুল ভাবে বেড়েছে।
সোমবার অমিতবাবুর টুইট, ‘‘জীবিকার উপরে মোদীর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় ধরা পড়েছে। মে মাসে বেকারত্ব লাফিয়ে বেড়েছে। কর্মহীন হয়েছেন ৫.৬ কোটি মানুষ (সিএমআইই-র তথ্য বলছে বেকারত্ব ১৪.৫%)। বেতনভুকদের মধ্যে কাজ হারিয়েছেন ১.২ কোটি। কিন্তু নথিভুক্ত বড় সংস্থাগুলির লাভ চার বছরে সর্বোচ্চ। জিডিপি-র ২.৬%। দেশকে জবাব দিন।’’
গত বছর এপ্রিল এবং মে মাসে দেশে বেকারত্বের হার ২০% ছাড়িয়েছিল। ৭ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে তা ছিল ১৭.৫১%। লকডাউন শিথিল হতে সেই হার মাথা নামায়। এ দফায় সিএমআইই-র বক্তব্য, স্থানীয় ভাবে লকডাউনের ফলেই ফের যাচ্ছে কাজ। অর্থনীতি নতুন ভাবে কাজ দেওয়ার অবস্থাতেই এই মুহূর্তে নেই। ফলে কাজ খোঁজাও অনেকে বন্ধ করে দিয়েছেন। অপেক্ষা করছেন ফের লকডাউন শিথিল হওয়ার জন্য।