জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।
এক যুগ পরে ফের কমল আমেরিকার ক্রেডিট রেটিং (মূল্যায়ন)। কাউকে ঋণ দিলে সেই অর্থ ফেরত পাওয়া কতটা ঝুঁকির, তা বলে মূল্যায়ন। ঋণ ফেরত না পাওয়ার ঝুঁকি যত কম, তত বেশি লগ্নি পাওয়ার যোগ্যতা, তত বেশি আকর্ষণ, তত কম সুদ। মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস আমেরিকার অর্থনীতি নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি স্থিতিশীল রাখলেও, মূল্যায়ন সর্বোচ্চ ‘AAA’ থেকে এক ধাপ কমিয়ে ‘AA+’ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, ‘AA+’ মূল্যায়নও যথেষ্ট উঁচু। ‘AAA’-এর মতো ঝুঁকিহীন না হলেও, এই তকমা থাকলে ঋণ দেওয়ার ঝুঁকি কমই। ফলে ধারের অর্থে আমেরিকাকে হয়তো আগের চেয়ে বেশি সুদ দিতে হবে, তবে সেটা ঘাড়ে বিপুল আর্থিক বোঝা চাপার মতো নয়। অন্য অংশের বার্তা, কিছুটা চাপে পড়তে পারে সরকার। ভাবমূর্তিও ধাক্কা খাবে। বিশ্ব অর্থনীতিতে তার প্রভাব বোঝা যাবে ভবিষ্যতে। তবে সে দেশের অর্থনীতির বিরাট ক্ষতি কিছু হবে না। লগ্নিকারীরাও হয়তো শুধু রেটিং কমার জন্য মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।
ফিচের দাবি, আমেরিকার ঋণের বোঝা বৃদ্ধি, ধারের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো নিয়ে রাজনৈতিক কাজিয়া এবং দেশে মন্দার ঝুঁকি বহাল থাকায় মূল্যায়ন কমেছে। ২০১১-এ তাদের মূল্যায়ন ছেঁটেছিল এসঅ্যান্ডপি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন অবশ্য ফিচের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ। তাদের দাবি, পুরনো তথ্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত। অর্থনীতি বরং উন্নতির পথে হাঁটছে এখন। কয়েক বছরের জন্য ঋণের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার নিয়ে রফায় পৌঁছেছে প্রশাসন ও বিরোধীরাও।