প্রতীকী চিত্র।
রিলায়্যান্স রিটেল ভেঞ্চার্স (আরআরভিএল) এবং ফিউচার গোষ্ঠীর বোঝাপড়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় এক ধাপ এগিয়ে থাকল অ্যামাজ়ন। সিঙ্গাপুরের সালিশি আদালত জানিয়েছে, চূড়ান্ত রায় ঘোষণা না-হওয়া পর্যন্ত ফিউচার গোষ্ঠী তাদের ব্যবসা রিলায়্যান্সকে বিক্রি করতে পারবে না।
অগস্টের শেষ দিকে কিশোর বিয়ানির ফিউচার গোষ্ঠী জানিয়েছিল, মুকেশ অম্বানীর আরআরভিএল-কে ২৪,৭১৩ কোটি টাকায় নিজেদের খুচরো, পাইকারি, গুদাম ও পণ্য পরিবহণ ব্যবসা বিক্রি করতে চলেছে তারা। সেই বিক্রিবাটাকে ঘিরে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে ফিউচার-কে আইনি নোটিস পাঠায় অ্যামাজ়ন। সিঙ্গাপুরের আন্তর্জাতিক সিলিশি আদালতের দ্বারস্থ হয় আমেরিকার সংস্থাটি। তাদের দাবি, গত বছরের শেষের দিকে ফিউচারের অনথিভুক্ত সংস্থা ফিউচার কুপন্সের ৪৯% অংশীদারি কিনেছিল তারা। আবার ফিউচার রিটেলের ৭.৩% অংশীদারি রয়েছে ফিউচার কুপন্সের হাতে। সেই সূত্রেই দু’পক্ষের চুক্তি হয়েছিল, তিন থেকে ১০ বছরের মধ্যে ফিউচার গোষ্ঠীর অংশীদারি বিক্রি হলে তারাই প্রথম কেনার সুযোগ পাবে। ফিউচার গোষ্ঠীর সূত্র অবশ্য দাবি করেছিল, অ্যামাজ়ন ফিউচার কুপন্স কেনার পর এক বছরও পার হয়নি। ফলে চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ খাটে না। যদিও সিঙ্গাপুরের সিলিশি আদালতের বিচারপতি ভি কে রাজার নির্দেশ, চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে কোনও রকম সম্পত্তি লেনদেন করা যাবে না।
খুচরো এবং পাইকারি ব্যবসায় আরআরভিএল-এর সঙ্গে অ্যামাজ়ন ও ওয়ালমার্টের অধীনে থাকা ফ্লিপকার্টের লড়াই যে জমে উঠবে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলেই একমত। এই অবস্থায় ফিউচারের ব্যবসা অধিগ্রহণ ধাক্কা খাওয়ায় মুকেশের পরিকল্পনা বিঘ্নিত হবে কি না, সে ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে।